একে তো প্রবল বৃষ্টি। তার উপর আবার দিল্লি এয়ারপোর্টে ভয়াবহ বিপত্তি। ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা চাপানউতোর চলছে। আর সেই পরিস্থিতিতে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে টার্মিনাল ১-এ ইন্ডিগো বিমানগুলি শুক্রবার টার্মিনাল ২ ও টার্মিনাল ৩ থেকে ছাড়বে। এদিন রাত ১১টি পর্যন্ত এই রুটিন মেনে চলা হবে। সেই সঙ্গেই অন্যান্য ফ্লাইট যেগুলি টার্মিনাল ২ ও টার্মিনাল ৩ থেকে ওঠানামা করত সেগুলি যথাযথই আছে।
এদিকে দিল্লি-এনসিআরএ প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২২৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে ১৯৩৬ সালের পরে এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি।
বিকাল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি এয়ারপোর্টের তরফে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, স্পাইস জেটের বিমান নামছে টার্মিনাল ৩-তে। বিকাল ৪টের সময় যে আপডেট দেওয়া হয়েছিল দিল্লি এয়ারপোর্টের তরফে সেখানে বলা হয়েছিল, টার্মিনাল ১-এ যে সমস্ত ইন্ডিগো ও স্পাইস জেটের বিমান ওঠানামা করত সেগুলির সময় বদলানো হয়েছে। ইন্ডিগোর ফ্লাইট টার্মিনাল ২ ও টার্মিনাল ৩ থেকে অপারেট করবে আর স্পাইস জেটের ফ্লাইট ৩ নম্বর টার্মিনাল থেকে ওঠানামা করবে। সমস্ত যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাঁদের এই সমস্ত বিমানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁরা যেন ইন্ডিগো ও স্পাইস জেটের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করেন।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে যাত্রীরা www.newdelhiairport.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাস্তায় যানজট হতে পারে। সেকারণে আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখুন। যাঁদের বিমান ধরার ব্যাপার রয়েছে তাঁরা দিল্লি মেট্রো ধরতে পারেন বিকল্প হিসাবে।
এদিকে শুক্রবার সকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের মাঝেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এ ট্যাক্সিসহ একাধিক গাড়ির ওপরে ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়ে।সূত্রের খবর, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদে একাংশ ভেঙে যায়। দিল্লির দমকল সার্ভিসকে এরপরে খবর দেওয়া হয়। এদিকে দুর্ঘটনায় ছাদের বিমগুলিও ভেঙে পড়ে। সেই বিমের চাপে টার্মিনালের পিক-আপ ও ড্রপ এরিয়ায় পার্ক করা গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে দাবি করেন, দুঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। পাশাপাশি তিনি এই দুর্ঘটনার জন্যে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করেছিলেন। অভিযোগ ওঠে, ভোটের আগে ঠিকঠাক ভাবে কাজ শেষ না হতেই তড়িঘড়ি উদ্বোধন করা হয়েছিল দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাস ১-এর সম্প্রসারিত অংশের। আর এই দুর্ঘটনা নাকি সেটারই প্রতিফলন। তবে সরকারি তরফে দাবি করা হয়েছে, টার্মিনালের যে অংশটি ভেঙে পড়ে, সেটি পুরনো নির্মাণ। ২০০৯ সালে সেই অংশটি তৈরি করা হয়েছিল।