৩০ জনের আধার কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একাধিক মহিলার জন্য বরাদ্দ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, একাই হাতিয়ে নেওয়ার আশায় বড় কৌশল এঁটেছেন তিনি। লাড়কি বহেন যোজনা প্রকল্পের সুবিধার নেওয়ার জন্য সাতারা জেলার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে। সরকারি সুবিধা নেওয়ার জন্য তিনি প্রত্যেক আবেদন পত্রে শুধুমাত্র নিজেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করেছেন। একই মহিলাকে বিভিন্ন পোশাকে সাজিয়ে প্রতারণার ছক কষেছেন ওই ব্যক্তি। ২ সেপ্টেম্বর পানভেল মহকুমা অফিসে এমনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Audi Boss Fabrizio Longo Died: পাহাড়ে চড়তে গিয়ে ১০,০০০ ফুট থেকে পড়লেন অডির ডিরেক্টর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু)
ঘটনাটি সামনে আসে, খারঘরের ২৭ বছর বয়সী পূজা মহামুনি যখন দেখেন যে তাঁর নামে একটি আবেদন জমা করা হয়েছে। কিন্তু আবেদন পত্রে মোবাইল নম্বরটি ছিল অন্য কারও। আসলে, ২৮ অগস্ট, মহামুনি প্রাক্তন পানভেল কর্পোরেটর নীলেশ বাভিস্করের কাছে এই স্কিমে আবেদন করার জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন। পরের দিন, ২৯ অগস্ট সন্ধ্যে ৬:৪৫ টায় তিনি তাঁর ফোন ব্যবহার করে, এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন কিনা, তা চেক করতে গিয়েছিলেন। তখনই দেখেন যে তাঁর আবেদন ইতিমধ্যেই একটি ভিন্ন ফোন নম্বর ব্যবহার করে জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে এবং অনুমোদন করাও হয়েছে৷
আরও পড়ুন: (Make-in-India Drive: আত্মনির্ভরতার পথে বড় পদক্ষেপ, সেনা ক্যান্টিনে রমরমিয়ে বিক্রি ভারতীয় পণ্যই)
কীভাবে এমনটা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখতে, প্রাক্তন কর্পোরেটর, আবেদনের উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে কল করলে সাতারার ওই ব্যক্তি ফোনটি তোলেন। নিজেই জানান, তিনি সাতারার বাসিন্দা। এরপর, বাভিস্কর, সোশ্যাল ওয়ার্কার কাঞ্চন বিড়লার সাহায্যে জানতে পারেন যে ৩০ জনের আবেদন পত্র একই মোবাইল নম্বরে লিঙ্ক করা হয়েছে। প্রত্যেকের আধার নম্বর আলাদা। আরও দেখা গিয়েছে যে ৩০টি আবেদনের মধ্যে ২৬টি অনুমোদিত হয়েছে এবং ৪টি এখনও বাকি রয়েছে। সমস্ত অনুমোদিত আবেদনে একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Supreme court: ‘আপনারা আইনি পেশা চালিয়ে যাওয়ার অযোগ্য’, ধর্মঘট নিয়ে উকিলদের সুপ্রিম ভর্ৎসনা)
বলা বাহুল্য, সরকারি স্কিমের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নীলেশ বাভিস্কর। ইতিমধ্যেই পানভেল মহকুমা অফিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিড়লা উল্লেখ করেছেন যে তাঁরা অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্সেস করার পরে, স্ক্যামার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেছে এবং পুনরায় ওই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কারণ স্ক্যামারের ফোনেই ওটিপি গিয়েছে। তবে, পানভেলের মহকুমা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার এই অভিযোগটি রায়গড় কালেক্টরের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই সাতারা কালেক্টরকে প্রোটোকল অনুযায়ী তদন্ত করে, যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।