'এই কলিযুগে এত ভালবাসা পেয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।' রাখি পূর্ণিমায় নতুন রেকর্ড গড়ে মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার তথা শিক্ষক খান স্যার।রাখি পূর্ণিমার বিশেষ দিনে ভাইদের রাখি বাঁধেন বোনেরা। আর তাঁদের সুরক্ষা, ভালবাসার প্রতিশ্রুতি দেয় ভাইয়েরা। এই শুভদিনে বিহারের পাটনায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন স্বয়ং খান স্যার। সেই অনুষ্ঠানেই নিজেদের প্রিয় দাদা, শিক্ষককে রাখি পরালেন এক, দুই নয়, প্রায় ১৫ হাজারের অধিক মেয়েরা।
আরও পড়ুন-শিশুদের চরম বর্বরতা! আয়ারল্যান্ডে ফের বর্ণবিদ্বেষের শিকার প্রবীণ ভারতীয়
এর আগে খান স্যরের কোচিং সেন্টারেই এই বিশেষ দিনে রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান পালন করা হত। তবে এই বছরে মহিলাদের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই এবারের অনুষ্ঠানটি প্রথমবার শ্রীকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত হয়েছিল। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় তাঁকে রাখি পরানোর উৎসব, চলে প্রায় বেলা ১.৩০টা পর্যন্ত। এই সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় ধরে স্টেজে ঠায় বসে থাকেন খান স্যর। যতক্ষণ না লাইন দেওয়া মহিলাদের সংখ্যা শেষ হয়। ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় খান স্যার বলেন, 'জাতি, ধর্ম, জায়গা, রাজ্য উপেক্ষা করে মেয়েরা আজ এখানে এসেছেন। ভারতের গৌরব রাখিবন্ধন উৎসব। এর চেয়ে ভালো উৎসব আর হতে পারে না।আমাদেরই তো এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই কলিযুগেও আমি এত ভালবাসা পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। গোটা পৃথিবীতে আমি ছাড়া এত রাখির পরার সৌভাগ্য হয়তোই আর কারুর হয় না। হয়তো আর কেউ এত বোনেদের ভালবাসা পান না।' ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে তাঁর এই ভিডিওটির ৮০ লক্ষেরও বেশি ভিউ হয়েছে।
আরও পড়ুন-শিশুদের চরম বর্বরতা! আয়ারল্যান্ডে ফের বর্ণবিদ্বেষের শিকার প্রবীণ ভারতীয়
এই বিশেষ দিনে তাঁর ছাত্রীদের খাওয়া দাওয়ার জন্য খান স্যার ১৫৬ রকম পদের আয়োজন করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল খান স্যারের নিজের কোনও বোন নেই।কিন্তু শনিবার দিনটা প্রমাণ করে দিল রক্তের সম্পর্কে কোনও বোন না থাকলেও, তাঁর বোনের সংখ্যা হাজার হাজার। শিক্ষকতার অদ্ভুত কৌশলের জন্য পরিচিত খান স্যর। ছাত্রদের মধ্যে তিনি ‘খান স্যর’ নামেই বেশি পরিচিত। কখনওই নিজের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি তিনি। ফলে ছাত্রেরাও তাঁর আসল নাম জানতেন না। পরে জানা যায়, খান স্যরের আসল নাম ফয়জল খান। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা তিনি।ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভূগোলে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর বাবা সেনাকর্তা ছিলেন। মা গৃহবধূ। তাঁর এক দাদা ছিলেন সেনার কমান্ডো। জানা গিয়েছে, শৈশব থেকেই পড়াশোনায় ভাল খান স্যর। এনডিএ পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচিত হননি।