ঝাড়খণ্ডে কর্ণি সেনার রাজ্য সভাপতি বিনয় সিংকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি আবার এই সংগঠনের জাতীয় সহসভাপতিও ছিলেন। জামশেদপুরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে জানা গিয়েছে। ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কের দিল্লি ওয়ার্ল্ড পাবলিক স্কুলের মোড়ের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় রাতে। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল। ঘটনাস্থল থেকে বিনয়ের স্কুটি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর হাতে ও পায়ে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। (আরও পড়ুন: ১০ দিন পর স্কুল খুলল ধুলিয়ানে, ক্ষত ভুলে এখন কেমন আছে মুর্শিদাবাদ?)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি হিন্দু মন্ত্রী খেয়াল দাসের ওপর হামলা,সেন প্রধানের বিদ্বেষ ছড়ানোর ফল?
এদিকে নেতার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কর্ণি সেনার সদস্যা। সেখানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মৃতদেহ তুলতে দেয়নি। তিন ঘণ্টা পর সিটি এসপির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন বলে জানা যায়। গভীর রাতে পাটমাদার ডিএসপি বচনদেব কুজুর, উলিডিহ থানার ইনচার্জ কুমার অভিষেক, ম্যাঙ্গো থানার ইনচার্জ নিরঞ্জন কুমার এবং সিডগোদা থানার ইনচার্জ গোলাম রব্বানি ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে শান্ত করেন। পরে বিক্ষুব্ধ কর্ণি সেনার সদস্যরা শান্ত হলে লাশ উদ্ধার করে এমজিএম হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দু নেতা নাকি খুন হননি, দাবি পুলিশের, তাহলে কীভাবে মারা গেলেন ভবেশ?)
জানা গিয়েছে, উলিডিহ থানা এলাকার আস্থা স্পেস টাউনে থাকত বিনয়। ডিমনা চকে তাঁর একটি টাইলসের দোকান রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। সাধারণত বিকেল চারটের মধ্যে খেতে বাড়ি ফিরতেন বিনয়, কিন্তু রবিবার তিনি বাড়িতে আসেননি। তিনি দোকানেও ছিলেন না। দীর্ঘক্ষণ তাঁর সন্ধান না পেয়ে এবং বিনয়ের ফোন বন্ধ থাকায় রাত ৮টার দিকে উলিডিহ থানায় পৌঁছে পুলিশের সহায়তা চায় পরিবার। পুলিশ মোবাইল লোকেশনের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে এবং রাত ৮টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ বলছে যে মৃতদেহের অবস্থা দেখে অনুমান করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি দুপুর ১২টার দিকে সংঘটিত হয়েছিল। পুলিশ বিনয়ের বাঁ হাতে একটি পিস্তল পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। অথবা এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল কলের বিবরণ এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে।