২১ জুলাই বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য বুধবার দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের দুইজন বিশেষজ্ঞ এবং একজন নার্সিং সহকারীর সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম ঢাকায় পাঠিয়েছে ভারত। এর আগে, গত ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর এক বিমান ভেঙে পড়ে একটি স্কুলে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৫ ছাড়িয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে ভারত তার ‘নেবর্স ফার্স্ট’ নীতিকে সঙ্গে নিয়ে এই মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে ঢাকায়।
এর আগেত গত ২১ জুলাই বাংলাদেশে এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘিরে শোক প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক এক্স পোস্টে এই ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশের পাশে ভারতের থাকার বার্তা দেন। তিনি সেদিনই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে যাবতীয় সাহায্যে এগিয়ে আসতে প্রস্তুত ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স পোস্টের বার্তায় জানান,' ঢাকায় এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত, যাদের অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমাদের হৃদয় বেদনার্ত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। শোকের মুহর্তে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।' আর প্রধানমন্ত্রীর বার্তা অনুযায়ী ‘কথা রেখে’ ভারত, এদিন বাংলাদেশে এই কঠিন সময়ে সাহায্য়ের জন্য এক বিশেষজ্ঞের মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, সেদেশে আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। নানান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেকেই।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ভারতের পাঠানো ওই মেডিক্যাল টিম ‘রোগীদের অবস্থা মূল্যায়ন করবে এবং প্রয়োজনে ভারতে আরও চিকিৎসা এবং বিশেষায়িত যত্নের জন্য সুপারিশ করবে।’ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন এই মেডিক্যাল টিম বুধবারই বিকেলে ঢাকা পৌঁছে গিয়েছে। রণধীর জয়সোয়াল জানান,'আগামীকাল সকাল থেকে তাঁরা(মেডিক্যাল টিম) রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে তাঁদের কাজ শুরু করবেন। এই ট্র্যাজেডির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়ার পর তাঁদের (মেডিক্যাল টিমের) এই সফর শুরু হয়েছে।'
বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা দুর্ঘটনায় আহতদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী যারা এখন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। আহতদের মধ্যে শিক্ষক, স্কুল কর্মী, অগ্নিনির্বাপক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, গৃহকর্মী, ইলেকট্রিশিয়ান এবং অন্যান্যরা রয়েছেন, বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।