২০২৫ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ভারতের বহু ক্রিকেট ফ্যানকে ক্ষুব্ধ করেছে। দেশের নানান প্রান্তে ক্রমেই তুঙ্গে উঠছে ম্যাচ ‘বয়কট’র ডাক। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন নিরীহের প্রাণ যাওয়ার ৪ মাস পার হতেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের এই ম্যাচের বিরোধিতায় অনেকেই মুখ খুলেছেন। কী পরিস্থিতি পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবারের? তাঁদের মনের অবস্থা কেমন?
পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাকিস্তানের পর পর জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। কূটনৈতিক আঙিনায় স্থগিত করে দেওয়া হয় সিন্ধু চুক্তি। ধীরে ধীরে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে ঠেকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরও পাকিস্তানের তরফে এসেছে হামলার হুমকি। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের ম্যাচ হচ্ছে আজ দুবাইতে। ইতিমধ্যেই টস-এ হেরে ফিল্ডিং পেয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
অন্যদিকে উঠে আসছে পহেলগাঁও হানায় স্বজনহারাদের প্রতিক্রিয়া। পহেলগাঁওর ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দিনে বাবা ও ভাইকে হারিয়েছিলেন সাওয়ান পরমার। তিনি বলছেন,'যখন আমরা জানতে পারলাম যে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে, তখন আমরা খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম। পাকিস্তানের সাথে কোনও ধরণের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়... যদি আপনি ম্যাচটি খেলতে চান, তাহলে আমার ১৬ বছর বয়সী ভাইকে ফিরিয়ে দিন যে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল... অপারেশন সিঁদুর এখন নষ্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।'
সাওয়ানের মা, কিরণ যতীশ পারমার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কিছু গুরুতর প্রশ্ন রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিরণের প্রশ্ন,' এই ম্যাচটি হওয়া উচিত নয়। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি, তাহলে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি কেন হচ্ছে?... আমি দেশের সকলকে বলতে চাই যে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারগুলিকে দেখতে যান এবং দেখুন তাঁরা কতটা দুঃখিত। আমাদের ক্ষত এখনও শুকায়নি।' ম্যাচ ঘিরে দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে বয়কটের ডাকের মাঝেও এই ম্যাচ আয়োজন করছে বিসিসিআই।