পরিকল্পনা করে যেসব পর্যটকরা সিমলা, মানালি বেড়াতে গিয়েছেন তাঁরা বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন। কিন্তু সেখানে এখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রবল তুষারপাতে কাবু হয়ে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ। এখন বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে সিমলা, মানালি। জম্মু–কাশ্মীরেরও একটা বড় অংশ তুষারপাতের জেরে দুর্গম হয়ে উঠেছে পথ। তবে আজ, বুধবার ক্রিসমাস ডে’তে হিমাচল প্রদেশ যেন এক শুভ্র ওয়ান্ডারল্যান্ড হয়ে উঠেছে। এই রাজ্যজুড়ে নানা পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরু তুষারপাতের জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে ২২৩ রাস্তা।
এই তুষারপাত যদি বাড়তে থাকে তাহলে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে। তার জেরে কিন্নর, লাহুল–স্পিতি, সিমলা, কুলু, মানালি, মান্ডি, চাম্বা, সিরমৌর জেলা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়ক–সহ বন্ধ ২২৩ রাস্তা। শুধু তাই নয়, আটারি–লেহ জাতীয় সড়ক, সাঞ্জ–আউট সড়ক, খাব সঙ্গম–গ্রামফু জাতীয় সড়ক এখন মোটা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে। আর তার জেরে রাজ্যের একাধিক শহরের হোটেলে ৭০ শতাংশ পর্যটক আটকে পড়েছেন। ঘুরে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখবেন তা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধীরা সবজির ছুরি দিয়ে বাইপাস সার্জারি করার চেষ্টা করেছিল’, খোঁচা দিলেন ধনখড়
গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ফলে পর্যটকদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে। ঘুরে বেড়ানোর সমস্ত পরিকল্পনা বরফের চাদরের তলায় চাপা পড়েছে। স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু ফোনে একে অপরকে উইশ ইউ মেরি ক্রিসমাস বার্তা পাঠিয়ে শান্ত থাকতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রিসমাস যে হ্যাপি বা মেরি কোনওটিই হচ্ছে না। এই তুষারপাতের জেরে সিমলার অন্তত ১৪৫টি রাস্তা, কুলুর ২৫টি, মান্ডি জেলার ২০টি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। কারণ রাজ্যের নানা জায়গায় অন্তত ৩৫৬টি ট্রান্সফর্মার কাজ করছে না।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে এই দুর্যোগ না কাটলে বাড়িও ফেরা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সময় আপন গতিতে বয়ে চলে যাচ্ছে। বাড়ছে টেনশন এবং ভয়। কবে কাটবে এই দুর্যোগ? তা এখনও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। এখানের একাধিক জেলায় রাস্তা আটকে পড়ে রয়েছে ৫০০ গাড়ি। যেখান থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং জানান, এখন রাস্তা থেকে বরফ সরাতে ডালহৌসি থেকে রোহরু অঞ্চল জুড়ে ২৬৮টি মেশিন চালু করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যের মধ্যে ২৩৫টি রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।