মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে ইলন মাস্ক হয়ে উঠেছেন তাঁর পয়লা নম্বর 'শত্রু'। দুজনের মতভেদ প্রকাশ্যে আসার পর এবার ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের (ইমপিচমেন্ট) দাবি করেছেন। এর পাশাপাশি ট্রাম্পের পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'আমি না থাকলে ট্রাম্প জিততেন না', বন্ধুত্বে ফাটল ধরতেই মিসাইল নিক্ষেপ মাস্কের)
আরও পড়ুন: কিংফিশার ঋণ জালিয়াতি কাণ্ডে ঘুরিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দোষ দিলেন বিজয় মালিয়া?
২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। তবে সেই সময় সেই চর্চা ছিল ইতিবাচক। মাস্ককে ডিইওজিই-র প্রধান করেন ট্রাম্প। তবে কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাঁদের বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর আইন নিয়ে দুজনের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে থেকেই মাস্ক 'বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট'-এর সমালোচনা করে আসছিলেন। তবে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। বৃহস্পতিবার অবশ্য টেসলা ও স্পেসএক্সের জন্য সরকারি চুক্তি ও ভর্তুকি বাতিলের হুমকি দেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: অ্যাকশন মোডে বেঙ্গালুরু পুলিশ, পদপিষ্ট কাণ্ডে গ্রেফতার RCB-র উচ্চপদস্থ কর্তা)
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বে নয়া মোড়, যৌন কেলেঙ্কারি মামলার ফাইল নিয়ে ফাটল বোমা
আরও পড়ুন: মাস্ক-ট্রাম্প দ্বন্দ্বে ১৪% পতন টেসলার শেয়ারে, একদিনে হাওয়া ১৫৩ বিলিয়ন ডলার
এর পালটা ইলন মাস্ক দাবি করেছেন, তিনি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেন না। এছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাস্ক বলেন, এই বিল আমেরিকাকে দেউলিয়া করে দেবে। তিনি এক্স-এ তাঁর লক্ষ লক্ষ অনুগামীদের এই বিলের বিরোধিতা করার আবেদন জানিয়েছেন এবং 'কিল দ্য বিলের' আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান। এরপর মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেন, 'দেখুন, ইলন ও আমার মধ্যে দারুণ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন জানি না এ ধরনের সম্পর্ক টিকবে কি না। ইলেনকে নিয়ে আমি খুবই হতাশ।' এরপরই টেসলার সিইও বলেন, 'আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যেতেন, ডেমোক্র্যাটদের হাউস দখল করতেন এবং সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেন মাত্র ৫১-৪৯ ব্যবধানে।'