এবার থেকে ইভিএম ব্যালট পেপারে শুধুমাত্র দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নয়, থাকবে প্রার্থীদের রঙিন ছবিও।বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছরে ভোট রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। সেই নির্বাচনের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-'দেবতাকেই কিছু করতে বলুন!' 'সুপ্রিম' নির্দেশে খারিজ খাজুরাহোর পুনরুদ্ধার, CJI-কে চিঠি
বুধবার ব্যালট পেপার তৈরির নির্দেশিকা সংশোধন করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, 'নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) ইভিএম ১৯৬১-এর বিধি ৪৯বি-এর অধীনে ব্যালট পেপার তৈরির নির্দেশিকা সংশোধন করেছে যাতে ভোটারদের জন্য ইলেকশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ হবে।' নতুন পরিবর্তনের অধীনে, প্রার্থীর মুখ এখন ব্যালট পেপারের তিন-চতুর্থাংশ দখল করবে। এর ফলে ভোটারদের প্রার্থীদের চেনা সহজ হবে।সংশোধিত নিয়ম অনুসারে, ব্যালটকে আরও ভোটার-বান্ধব করে তুলতে এবং ভোটকেন্দ্রে বিভ্রান্তি কমাতে নকশা এবং মুদ্রণ উভয়ই পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে ভোটারদের আস্থা জোরদার করা যায়। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর ব্যালট ইউনিটে ব্যালট পেপারগুলিকে আরও স্পষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সংশোধন করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল, প্রার্থীদের রঙিন ফটোগ্রাফ-সহ ইভিএম-এ দেখানো হবে।এছাড়াও, প্রার্থীদের সিরিয়াল নম্বর আরও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে ইভিএমে।প্রার্থীদের নাম লেখা থাকবে মোটা হরফে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, উপরে বাম দিকে প্রার্থীর ছবি থাকবে। উল্লেখ থাকবে ব্যালট পেপারের সিরিয়াল নম্বর। নোটা প্রার্থীদেরও ছবি থাকতে হবে। একটি ব্যালট পেপারে ১৫ জনের বেশি প্রার্থীর নাম থাকবে না।ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করতেই এই নির্দেশিকা চালু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-'দেবতাকেই কিছু করতে বলুন!' 'সুপ্রিম' নির্দেশে খারিজ খাজুরাহোর পুনরুদ্ধার, CJI-কে চিঠি
কমিশনের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ছাপানো হবে ভাল মানের (৭০ জিএসএম) কাগজে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করা হবে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে। আগামী দিনে অন্য রাজ্যের নির্বাচনেও তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বিহারে প্রায় ৭ কোটিরও বেশি ভোটার রয়েছে, এবং এখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সব সময়ই জটিল হয়ে ওঠে। গত নির্বাচনগুলিতে ইভিএম-সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল, যদিও ইসিআই সেগুলিকে খণ্ডন করেছে। এবার রঙিন ছবি যুক্ত করে ইসিআই ভোটারদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। বিহারের পর এই ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যেও চালু করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে, যেখানে ভোটাররা প্রায়ই প্রার্থীদের ফটো দেখে চেনেন সেখানে এই পরিবর্তন বিশেষভাবে উপকারী হবে বলে মনে করছে কমিশন। উল্লেখ্য, ইভিএম হল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো ভারতের সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল।