‘পয়লা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা আসলে জাটকা খাবেন। তারা আইনের লঙ্ঘন করছেন। এটা বাজারে পাওয়া যাওয়াটা আইনের লঙ্ঘন হবে। এই সময়টাতে সচেতন করার জন্য করছি। এটা একটা প্রচার। আমি আহ্বান জানাতে চাই প্রথমত এটা আমাদের সংস্কৃতির কোনও অঙ্গ নয় যে পান্তার সঙ্গে ইলিশ খেতে হবে। বিশেষ করে এপ্রিল মাসে। অন্য সময় খান। কিন্তু এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ যে পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়া হয় এটা জাটকা, ইলিশ নয়। সেই হিসাবে জাটকাকে সংরক্ষণ করে ইলিশে যেন রূপান্তরিত করতে পারি। সেকারণ অনুরোধ করছি এবার যেন পান্তা ইলিশ না খাওয়া হয়।’ আবেদন বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টার ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘সংরক্ষণ করলে ইলিশ যে বাড়বে ৫০ শতাংশ বাড়বে, সরবরাহ বাড়বে, বাজারে যেন কোনও সিন্ডিকেট দখল করতে না পারে সেই চেষ্টাও থাকবে। নিষেধাজ্ঞা যে রফতানির উপর ছিল সেটাও আছে। প্রবাসীদের উপর কিছু ছাড় দিয়েছি। নির্দিষ্ট দেশ বলে, সেখানে যেহেতু বাংলাদেশিরা আছেন সাধারণ মানুষ তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য, আমরা বলি আগে বাংলাদেশিরা খাবে, বিদেশে থাকলেও বাংলাদেশিরাই খাবে’ বলেন মৎস্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার বাংলাদেশের সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫উপলক্ষে একটা সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টা জাটকা সংরক্ষণ নিয়ে মুখ খোলেন।
তিনি বলেন, ‘বাতাসা খান, দই চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত খান, ভাত, শাক সবজি খান।’
মূলত তিনি পান্তা ইলিশ খাওয়ার নাম করে জাটখা খাওয়াতে আপত্তি তোলেন। কারণ জাটকা খেলে কার্যত ইলিশের বংশ কমতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘যারা ঢাকায় থাকেন তারা পান্তা ইলিশ চালু করেছেন। এটা আরোপিত সংস্কৃতি। বরং পয়লা বৈশাখের আগের দিন বাঙালি সংস্কৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হল চৈত্র সংক্রান্তি সেখানে কোনও আমিষ খাওয়া হয় না। সেদিন ১৪ রকমের শাক খাওয়া হয়। আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন। পয়লা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত খান, ভাত, শাক সবজি খান, ইলিশ বাদে অন্য মাছ খান।’
তিনি বলেন, ‘জেলেরা তাঁদের জীবন জীবিকা ঝুঁকিতে রেখে মাছ ধরা বন্ধ করতে পারেন। তাহলে আমরা কেন একদিন ইলিশ খাওয়া বন্ধ করতে পারব না?’