ফের একবার ইউএস এইড বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে এবারে মোদী সরকারকেই ঘুরিয়ে তোপ দাগেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২২ ফেব্রুয়ারি কনজারভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্প এই ইস্যুটি উত্থাপন করেন। ট্রাম্প বলেন, 'নির্বাচনে ভারতকে সাহায্য করার জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন? কেন আমরা পুরানো কাগজের ব্যালটে ফিরে যাচ্ছি না, এবং আমাদের নির্বাচনে বরং তাদের সহায়তা করতে দিই, তাই না? ভোটার আইডি দিলে ভালো হত না? আমরা নির্বাচনের জন্য ভারতকে টাকা দিচ্ছি। তাদের অর্থের প্রয়োজন নেই।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রাজনীতি শক্তিশালী করার নামে কার পকেটে $২৯ মিলিয়ন? বিস্ফোরক ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: কলকাতার বাইমেলায় ছিল না স্টল, তবে মহাকুম্ভে বাংলাদেশি দল পাঠাল ইউনুসের সরকার
এরপর ভারতের শুল্ক নীতির প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, 'তারা আমাদের ভালোই সুযোগ নেয়। বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করা দেশ তারা। আমরা সেখানে কিছু বিক্রির চেষ্টা করলেই দেখি তারা ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বসে আছে। এরপর আমরা তাদের নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য প্রচুর অর্থ দিচ্ছি।' এদিকে এর আগে সম্প্রতি ট্রাম্পকে এই ইস্যুতে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্যে আমাদের কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমার মনে হয় ওরা (এই অর্থায়নে অনুমোদন করা কর্তৃপক্ষ) অন্য কাউকে ভোটে জেতাতে চাইছিল। আমাদের এই বিষয়টি ভারত সরকারকে জানাতে হবে। এটা বিশাল বড় ব্রেকথ্রু। রাশিয়া আমাদের দেশের নির্বাচনের সময় ২০০০ ডলার খরচ করেছিল বিজ্ঞাপনে। সেটাই তো কত বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছল। আর এটা তো ২১ মিলিয়ন ডলার!' সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত একাধিকবার এই ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এদিকে ভারতের তরফ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ইউএস এইডের এই অর্থায়ন প্রসঙ্গে। বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর নিজে বলেন, 'আমরা সরল বিশ্বাসে ইউএস এইডকে কাজ করতে দিয়েছিলাম এখানে।' (আরও পড়ুন: মাস্কের ওপর 'চাপ' বাড়ালেন ট্রাম্প, 'মড়িয়া' ইলন উলটে চাপ দিলেন...)
দাবি করা হচ্ছে, ভারতের নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে আরও বেশি সংখ্যক ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে আমেরিকার তরফ থেকে খরচ করা হত এই ২১ মিলিয়ন ডলার। এদিকে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এসওয়াই কুরেশি স্বীকার করেন যে এর আগে ইউএসএইডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল কমিশন। তবে তিনি দাবি করেছিলেন, সেই চুক্তিতে কোনও অর্থায়নের কথা ছিল না।
এর আগে বিজেপির অমিত মালব্য এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'ভোটের হার বৃদ্ধি করতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ? এটা নিশ্চিত ভাবে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। এর থেকে কারা লাভবান হচ্ছে? নিশ্চিত ভাবে শাসকদল তো নয়।' বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি দাবি করেছেন, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টির সঙ্গে এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতেন ইউএস এইডের প্রাক্তন ভারতীয় প্রধান বীণা রেড্ডি। এই নিয়ে নাকি যাবতীয় নির্দেশ দিতেন প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন।