এবারে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইেলাতে ছিল না বাংলাদেশের কোনও স্টল। তবে সেই বাংলাদেশেরই দল মহাকুম্ভে দল পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ চলাকালীন ভারতের দশম আন্তর্জাতিক নৃত্য এবং সঙ্গীত উৎসবে দল পাঠিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের এক অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি নৃত্য পরিবেশনকারী দল এসে পৌঁছেছে প্রয়াগরাজে। সঙ্গম এলাকার ১ নং সেক্টরে গঙ্গা মণ্ডপে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, কিরগিস্তান, ফিজি, মালয়শিয়া, মলদ্বীপ, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাওয়ান্ডাও। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের ৬ মাস পরও মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেলেন না মা-বাবা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রাজনীতি শক্তিশালী করার নামে কার পকেটে $২৯ মিলিয়ন? বিস্ফোরক ট্রাম্প
এদিকে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের ডিরেক্টর ডেনারেল কে নন্দিনী সিংলা বলেন, 'সাংস্কৃতিক যোগ কখনও থেমে থাকে না। সরকার আসবে, যাবে, রাজনীতি বদলাবে, নেতা বদল হবে, তবে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোদ কখনও ম্লান হয় না। এটা এক আবেগ। কোনও রাজনৈতিক নেতা এসে এই আবেগে পরিবর্তন ঘটাতে পারেন না।' এদিকে বিদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে নন্দিনী বলেন, 'যে যে দেশ তাদের দল পাঠায়, তারা নিজেদের বিমান ভাড়া দেয়। এরপর এখানে আসার পরে তাদের যাবতীয় খরচ এবং প্রয়োজন আমরা মেটাই।' (আরও পড়ুন: ট্রেনে আগুন! আতঙ্কে পাশের লাইনেই নামলেন বরাক-ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের যাত্রীরা)
আরও পড়ুন: ভাষা বিতর্কে পড়শি রাজ্যে হেনস্থা সরকারি বাস চালককে, পরিষেবা বন্ধ পরিবহণ দফতরের
এদিকে বাংলাদেশি দলের নেতৃত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর প্রয়াগরাজে আসা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা সৌভাগ্যবাব যে এখানে এসে মহাকুম্ভে অংশ নিতে পেরেছি। আমন্ত্রণের জন্য আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে কৃতজ্ঞ।' অপরদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের ডিরেক্টর ডেনারেল বলেন, 'এখানে শিল্প পরিবেশন করার মাধ্যমে আমরা সবাই এক হয়ে উঠতে পারব। এখানে তিনটি পবিত্র নদী সঙ্গম। আর এই ঐক্যই আমাদের বার্তা।' (আরও পড়ুন: বন্দুক হাতে সটান ICU-তে দুষ্কৃতী, 'বন্দি' হাসাপাতাল কর্মীরা, মৃত ২)
এদিকে এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের কোনও স্টল ছিল না। দাবি করা হয়, স্টলের জন্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও যথাযথ আবেদন করা হয়নি। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশের স্টল থাকছিল কলকাতা বইমেলাতে। তবে এবার আর বাংলাদেশের স্টল ছিল না। যে কারণে সাহিত্যপ্রেমীদের মনে দুঃখ ছিল। প্রতি বছরই বাংলাদেশের স্টলে কী ধরনের বই এসেছে সেটা দেখার একটা বড় আগ্রহ থাকে বাংলাপ্রেমী পাঠকদের। তবে এবার সামগ্রিক পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা অন্য়রকম ছিল। এদিকে এর আগে কলকাতা আন্তর্জতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও বাংলাদেশ অংশ নেয়নি ভিসা সমস্যার জেরে। তবে এবার মহাকুম্ভে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করল।