মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধান।আর এই ব্যবধানই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা কবল থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের এক দম্পতিকে। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।আর এই হামলার পরেই সৌদি আরব সফর কাঁটছাঁট করে বুধবার সকালে ভারতে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। একই সঙ্গে সৌদি থেকেই মোদী এক্স বার্তায় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এই জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি এই জঘন্য অপরাধের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-Pahalgam Attack: এটা পয়সা লোটার সময় নয়! পহেলগাঁও হামলার পরে টিকিটের দাম না বাড়ানোর নির্দেশ
এই আবহে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া নাগপুরের এক দম্পতি তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। সংবাদমাধ্যম এএনআইকে ওই ব্যক্তি জানান, মঙ্গলবার পহেলগাঁও ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করছিল না তাদের। কিন্তু হাতে সময় কম থাকায় বৈসরণ উপত্যকা ছেড়ে ফিরে আসছিলেন। তখনই পিছনে শোনেন গুলির শব্দ। কোনও মতে প্রাণ হাতে দৌড় দেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা বেরিয়ে আসার পরেই শুরু হয় সেই ঘটনা। তারপরে অনেকক্ষণ গুলির শব্দ শুনছিলাম। সবাই ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল।আমরা ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিনিট দূরে ছিলাম। আর পিছন ফিরে তাকাইনি।’ তিনি আরও জানান, ওই সময়ে স্ত্রী এবং ছেলের নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছু মাথায় আসেনি তাঁর। স্ত্রীর পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। বেরোনোর দরজাটি ছোট ছিল, মাত্র ৪ ফুট এবং সেখানে প্রচুর লোক ছিল।
অন্যদিকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই মহিলা বলেন, ‘হঠাৎ একজন বলল, গুলি চলছে। পালাও। পিছন থেকে হুড়মুড় করে ছুটে এল লোকজন। ধাক্কা দিল। অনেক শিশুও ছিল। আর পিছনে ফিরে তাকাইনি।আমাদের বের হতে কষ্ট হচ্ছিল।’ ওয়াহিদ নামে এক ট্যুর গাইড এএফপিকে জানিয়েছেন, গুলির শব্দ পাওয়ার পর বেশ কয়েক জন আহতকে ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে হাসপাতালে উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেন। বহু জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছেন বৈসরণ উপত্যকায়।
আরও পড়ুন-Pahalgam Attack: এটা পয়সা লোটার সময় নয়! পহেলগাঁও হামলার পরে টিকিটের দাম না বাড়ানোর নির্দেশ
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি হতবাক। নিন্দার কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। নিহতর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আমি আমার সহকর্মী সাকিনা ইটুর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা দেখতে হাসপাতালে চলে গিয়েছেন। আমি অবিলম্বে শ্রীনগরে ফিরব।’