চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল বাংলাদশে। আওয়ামি লিগের এক নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তবে ওই নেতাকে থানা পর্যন্ত যেতে পারলেন না পুলিশ কর্মীরা। তার আগেই একেবারে ফিল্মি কায়দায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে একদল জনতা আওয়ামি লিগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। এমনই ঘটনা ঘটেছে পাবনার সুজানগর উপজেলায়। আওয়ামি লিগ নেতার নাম আবদুল ওয়াহাব। এই ঘটনায় ৮ জন পুলিশ কর্মী জনতার সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: না ‘নিষিদ্ধ’, না কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে! আওয়ামি লিগ কি সত্যি ২৬ মার্চ ফিরবে?
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ উঠেছিল এই আওয়ামি লিগ নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশ এই ঘটনায় নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। সেই মামলাতেই রবিবার বিকেলে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লিগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওয়াহাবকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। সেই সময় উপজেলার মথুরাপুর স্কুলমাঠে একদল জনতা এসে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে দেয়। এরপর গাড়ির দরজা খুলে আওয়ামী লিগ নেতাকে বের করে নিয়ে যায়। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামি লিগ নেতাকে বের করার সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে কাজ হয়নি। তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। একটা পর্যায়ে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এত সংখ্যক মানুষকে রুখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আসরের নামাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে গিয়েছিলেন ওয়াহাব। পুলিশ মসজিদের বাইরেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। এরপর লিগ নেতা নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ঘটে বিপত্তি। মুহূর্তেই মথুরাপুর, নারায়ণপুর, ভবানীপুর, বলরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশো মানুষ সেখানে জড়ো হন। এরপর তারা পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ওহাবকে বের করে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে পুলিশ কার্যত নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এবিষয়ে সুজানগর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ওহাবের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় এক দল জনতা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের উপরেও হামলা চালায়। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। এর প্রক্রিয়া চলছে।