ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) ৪৩ বছর বয়সি এক নেতা মঙ্গলবার সকালে হায়দরাবাদের মালাকপেটে খুন করা হয়। প্রাতঃভ্রমণের সময় প্রকাশ্য দিবালোকে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন চান্দু নায়েক নামে সেই নেতা। তিনি সিপিআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। হায়দরাবাদ সাউথ ইস্ট জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এস চৈতন্য কুমার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, 'সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শালিভাহান নগর পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যাচ্ছিলেন চান্দু নায়েক, তাঁর স্ত্রী। সেই সময় একটি সুইফট গাড়িতে করে চার হামলাকারী এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং পরে পালিয়ে যায়। আমরা হত্যার মামলা দায়ের করেছি এবং তদন্ত করছি।' (আরও পড়ুন: বাসে প্রসবের পর জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে সন্তানকে খুন তরুণী ও তার প্রেমিকের)
আরও পড়ুন: ১১৪ বছর বয়সি অ্যাথলিট ফৌজা সিংয়ের খুনি পুলিশের জালে, ধৃত কানাডা ফেরত এক NRI
ডিসিপি জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ক্লু টিমের সহায়তায় প্রয়োজনীয় সমস্ত ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনের (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। পুরনো শত্রুতার প্রেক্ষাপটও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হামলাকারীদের ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান ডিসিপি। (আরও পড়ুন: ইয়েমেনে ঠিক কীভাবে পিছিয়েছে ভারতীয় নার্স নিমিশার প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড?)
আরও পড়ুন: 'আমিষ দুধে' আটকে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা, WTO-তে নালিশ ট্রাম্প প্রশাসনের
আরও পড়ুন: চিনা হাতিয়ার ফেল হতেই অপারেশন সিঁদুরে জিততে AI-এর সাহায্য নেয় পাকিস্তান!
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চান্দু নায়েক নগরকুর্নুল জেলার বালমুর মণ্ডলের (ব্লক) নরসাইপল্লি গ্রামের বাসিন্দা এবং পরিবারের সঙ্গে চৈতন্যপুরীতে থাকতেন। কয়েক বছর আগে, চান্দু নায়েক সিপিআই (এমএল) থেকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিআই) যোগ দেন। ২০২২ সালে এলবি নগরে একটি হত্যা মামলায়ও তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। চৈতন্য কুমার বলেন, 'পুরনো শত্রুতা নাকি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: আর কোনও উপায় না দেখে এবার ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি ন্যাটোর, চাপে পড়বে মোদী সরকার?)
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের পৈশাচিক রূপ সামনে এল, জবানবন্দিতে 'স্টার উইটনেস' বললেন…
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গুলিবর্ষণে জড়িত চার আসামীর সবাই বিকেলে স্পেশাল অপারেশন টিম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। যথাযথ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হবে। খুন হওয়া নেতার স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজন প্রাক্তন মাওবাদী। সেই অভিযুক্ত বিভিন্ন জমি সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত থাকত। তিনি বলেন, 'আমার স্বামী এ ব্যাপারে তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিলেন, সেটাই হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে।'