মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের পারভানিতে চলন্ত স্লিপার কোচের বাসে ১৯ বছরের এক তরুণী সন্তানের জন্ম দেন। পরে সেই তরুণীর স্বামী বলে দাবি করা এক ব্যক্তিকে চলন্ত বাসের জানালা থেকে সদ্যোজাত ছেলেটিকে ফেলে দিতে সহায়তা করে। স্থানীয় পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বাস থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে নবজাতকটির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পাথরি-সেলু রোডে। (আরও পড়ুন: 'আমিষ দুধে' আটকে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা, WTO-তে নালিশ ট্রাম্প প্রশাসনের)
আরও পড়ুন: ১১৪ বছর বয়সি অ্যাথলিট ফৌজা সিংয়ের খুনি পুলিশের জালে, ধৃত কানাডা ফেরত এক NRI
অভিযুক্ত দম্পতি প্রথমে বলেছিলেন যে মহিলাটি জানালা দিয়ে বমি করেছিলেন। তবে এক ব্যক্তি শিশুটিকে কাপড়ে জড়িয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত প্রয়াগ ট্রাভেলসের স্লিপার কোচ বাসে করে পুনে থেকে আলতাফ শেখের সঙ্গে পারভানি যাচ্ছিলেন ঋতিকা ধে নামে এক মহিলা। যাত্রাপথে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রসব বেদনা শুরু হয় এবং তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু ওই দম্পতি শিশুটিকে এক টুকরো কাপড়ে জড়িয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেন। (আরও পড়ুন: আর কোনও উপায় না দেখে এবার ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি ন্যাটোর, চাপে পড়বে মোদী সরকার?)
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের পৈশাচিক রূপ সামনে এল, জবানবন্দিতে 'স্টার উইটনেস' বললেন…
অভিযুক্ত দম্পতি দাবি করার চেষ্টা করে যে ঋতিকা 'বমি' করছিল। স্লিপার বাসের চালক লক্ষ্য করেছিলেন যে জানালা দিয়ে কিছু একটা বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি চালককে জানান, বাস যাত্রার কারণে তার স্ত্রীর বমি বমি হয়েছে। এদিকে, রাস্তায় একজন বাসের জানালা দিয়ে সেই সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলার ঘটনাটি দেখেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাদের ১১২ হেল্পলাইনে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয় পুলিশের একটি টহল দল বিলাসবহুল বাসটিকে ধাওয়া করে এবং প্রাথমিক তদন্তের পর ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে। এই দম্পতি পুলিশকে বলেছিলেন যে তারা শিশুটিকে বড় করতে পারতেন না। তাই নবজাতককে ফেলে দিয়েছিলেন। পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির। (আরও পড়ুন: চিনা হাতিয়ার ফেল হতেই অপারেশন সিঁদুরে জিততে AI-এর সাহায্য নেয় পাকিস্তান!)
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে ঠিক কীভাবে পিছিয়েছে ভারতীয় নার্স নিমিশার প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড?
পুলিশ জানিয়েছে, পারভানির বাসিন্দা ঋতিকা ধে ও আলতাফ শেখ গত দেড় বছর ধরে পুনেতে থাকছেন। যদিও তারা পুলিশকে জানিয়েছিল যে তারা স্বামী ও স্ত্রী, তবে এই দম্পতি বিয়ের কোনও নথি দেখাতে পারেনি। পুলিশ তাদের হেফাজতে নেওয়ার পর ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ এই দম্পতির বিরুদ্ধে পারভানির পাথরি থানায় বিএনএসের ৯৪ (৩), (৫) ধারায় (মৃতদেহ গোপনে ফেলে দিয়ে জন্ম গোপন করা) মামলা দায়ের করেছে।