আমন সিং
বিজেপির নির্বাচনী ফান্ডিং নিয়ে এবার একেবারে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস। তাদের দাবি বিজেপির নির্বাচনী ফান্ডিং যেকোনও রাজনৈতিক দলের থেকে অন্তত তিনগুণ বেশি। কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পবন খেরা জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দলের টাকা আপনি যোগ করে দেখুন। এরপর আপনি তুলনা করে দেখুন বিজেপি কতটা পেয়েছে। বিজেপির সমস্ত রাজনৈতিক দলের থেকে তিনগুণ বেশি টাকা রয়েছে। আগে কোনও একটি কোম্পানি তাদের তিন বছরের লাভের ৭.৫ শতাংশের বেশি দান করতে পারত না। আর এখন বিজেপি সরকার সেই সীমা তুলে দিয়েছে। আর এখন কোম্পানিকে বলতেই হচ্ছে না তারা কত টাকা কোথায় দান করবে। আসলে এটা ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি স্কিম। রাহুল গান্ধী ঠিকই বলেছিলেন, টাকা একজনের অ্য়াকাউন্টে যাচ্ছে আর সেই টাকা সাদা হয়ে যাচ্ছে।
সেই সঙ্গেই মোদীকে নিশানা করে তিনি জানিয়েছেন, এজেন্ট ৫৬ বলতে পারেন আমার নাম হল বন্ড ইলেকটোরাল বন্ড।
সেই সঙ্গেই তিনি প্রশ্ন করেছেন, আমরা দাবি করছি এখনও পর্যন্ত বিজেপি যে টাকা পেয়েছে তার স্বচ্ছতা প্রমাণ করা হোক। অন্যান্য দলের ক্ষেত্রেও এই উদ্যোগ নিতে হবে। কেন আপনাদের লোকজনকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন? এটা কেন আরটিআইয়ের আওতায় আসবে না?
কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা প্রসঙ্গে পবন খেরা জানিয়েছেন, ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স কেউই ওদের পার্টির কারোর বাড়িতে হানা দিচ্ছে না। তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে না। তারা শুধু ছোট ব্যবসায়ীদের সমস্যা তৈরি করছে। কিন্তু এই যে ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে এত টাকা আসছে তা নিয়ে কিছু হচ্ছে না। আপনারা এই ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্য়মে পুঁজিবাদকে মদত দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ইলেকটোরাল বন্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেস পার্টি এই ইলেকটোরাল ফান্ডিংয়ের এই নীতির বিরুদ্ধে। আমরা একাধিক প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা বিজেপির এই পুঁজিবাদের বিরোধী অবস্থান নিয়েছি।
কংগ্রেসের দাবি, ২০১৭ সালে বিজেপি একটি সংশোধনীর মাধ্যমে ফিনান্স অ্য়াক্টের কিছু পরিবর্তন করেছিল। ইলেকটোরাল বন্ড কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে খোলাখুলি না বললেও হবে। এভাবেই এই নিয়মে শিথিল করেছিল বিজেপি সরকার।