করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দিতে হয়েছে বোর্ডের পরীক্ষা। এমতাবস্থায় স্কুলে হওয়া ক্লাস টেস্টের ভিত্তিতে বা ক্লাস নাইনের নম্বরের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই মূল্যায়ন পদ্ধতিরই বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিল দিল্লির ৪০০টিরও বেশি বেসরকারি স্কুল। সেইসঙ্গে দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশেও দেরি হবে। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিকে নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
নম্বর প্রদানের পদ্ধতিটি পুনর্বিবেচনার আর্জি করেছেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সিবিএসই যে নির্দেশিকা দিয়েছিল, তাতে বলা হয়েছে, স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, অর্থাত্ হাফ-ইয়ার্লি, ইউনিট টেস্ট ইত্যাদির ভিত্তিতেই নম্বর দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বলা হয় স্কুলগুলিতে গত তিন বছরে গড়ে যে রেজাল্ট হচ্ছে, তার থেকে যেন হঠাত্ নম্বর অস্বাভাবিক বেড়ে না যায়।
এই নীতিরই চরম বিরোধিতায় সরব হয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের মতে, গত তিন বছরের ভিত্তিতে যাচাই করা একেবারেই বাস্তবোত নয়। কারণ প্রতিটি বছরের ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের মান আলাদা। তাছাড়া সংখ্যাতেও হেরফের হয়। আগের ব্যাচের সঙ্গে এর তুলনা করার কোনও মানে হয় না।
উদাহরণ দিয়ে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, 'কোনও স্কুলে প্রতি বছর তুলনামূলক কম নম্বর আসতেই পারে। কিন্তু কোনওবছর অনেক ভাল ছাত্রছাত্রীও থাকতে পারে। তাদের সঙ্গে এই মূল্যায়ন পদ্ধতি ন্যায়সংগত হবে না।' এর পাশাপাশি স্কুলগুলির মতে, যে পরিস্থিতিতে স্কুলগুলি ইউনিট টেস্ট নিয়েছে, তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এরও প্রভাব পড়তে পারে নম্বরে।
সিবিএসই-র তরফে অবশ্য এর আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের কথায়, 'এটাই সেরা মূল্যায়ন পদ্ধতি। অনলাইন পরীক্ষায় সব পড়ুয়ারা অফলাইনের তুলনায় অনেক বেশি বেশি নম্বর পেয়েছে সব স্কুলেই। এমনটা হলে কী করা যেতে পারে? সিবিএসই স্কুলগুলিকে সবচেয়ে উচিত্ সুরাহাই দিয়েছে।'