খরিফ ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বা MSP বৃদ্ধির অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কৃষকদের সমর্থন করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। সংশোধিত মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস-এর লক্ষ্য হল কৃষকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক প্রদান এবং কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষি খাত আরও শক্তিশালী হবে এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রার উন্নতিতে সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ মিলবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটি। আরও পড়ুন: Summer Rice Drink: বাসি ভাত দিয়ে শুধু পান্তা কেন, বানান জগন্নাথ ধামের বিখ্যাত পানীয় তাঁকা তোরানি! সহজ রেসিপি দেখুন
MSP-র হারেই সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনে। অতি ফলন বা কম ফলনের জেরে বাজার মূল্যে যাতে প্রভাব না পড়ে, সেই উদ্দেশ্যেই এই MSP নির্ধারণ করে সরকার। এটি কৃষকদের জন্য গ্যারান্টি হিসাবে কাজ করে। সাধারণত কোনও বছর ফসলের অতি ফলন হলে দাম কম মেলে। এতে কৃষকের লোকসান হয়। তাছাড়া ফড়েদের প্রভাবে কৃষকরা নায্য মূল্য পান না। সেই কারণেই ন্যূনতম নায্য মূল প্রদান করে সরকার। সেটিই এবার বৃদ্ধি করা হল।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, ধানের জন্য MSP কুইন্টাল প্রতি (১০০ কেজি) ১৪৩ টাকা বাড়িয়ে সাধারণ জাতের জন্য ২,১৮৩ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে A গ্রেডের জন্য দাম ২,২০৩ টাকা করা হয়েছে।
অন্যান্য ফসল যেমন ডাল, তৈলবীজ, তুলা এবং বাজরার জন্যও MSP বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪% থেকে ১২% পর্যন্ত বিভিন্ন হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, MSP বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকরা যাতে তাঁদের উৎপাদন খরচের উপর অন্তত ৫০ শতাংশ লাভের মার্জিন রাখতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে।
সরকার জানিয়েছে MSP বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা তাঁদের ফসলের ধরনে বৈচিত্র্য আনতে এবং উচ্চ ফলনশীল প্রযুক্তি গ্রহণ করতে উত্সাহিত হবেন।
MSP বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত ২০১৮-১৯ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। MSP-কে সর্বভারতীয় গড় উৎপাদন খরচের অন্তত ১.৫ গুণের হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হল কৃষকদের জন্য যুক্তিসঙ্গতভাবে, ন্যায্য পারিশ্রমিক প্রদান করা। কৃষকদের বাজরা (৮২%), তুর (৫৮%), সয়াবিন (৫২%) এবং উরদ (৫১%)-এর উৎপাদন খরচের তুলনায় সর্বোচ্চ মার্জিন মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের জন্য, কমপক্ষে ৫০% মার্জিন থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভারত সরকার ডাল, তৈলবীজ এবং নিউট্রি-সিরিয়াল/শ্রী আন্নার মতো 'অ-শস্যজাতীয়' ফসলের চাষ বৃদ্ধি করার বিষয়ে প্রচার করছে। এই জাতীয় ফসলগুলির জন্য সেই কারণে বেশি হারে MSP প্রদান করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু প্রকল্প, যেমন জাতীয় কৃষি বিকাশ যোজনা (RKVY) এবং ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি মিশন (NFSM)-এর মাধ্যমেও কৃষকদের ফসলের বৈচিত্র্য আনতে উত্সাহিত করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: '৮০ কোটি মানুষকে বিষ দেওয়া হচ্ছে,' BJP সরকারের চালের বিরুদ্ধে দাবি কংগ্রেসের
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক