বুধবার রাতেই অসম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বুল্লি বাই অ্যাপ কাণ্ডে মূল ষড়যন্ত্রকারীকে। এই অ্যাপের মাধ্যমেই মুসলিম মহিলাদের বিকৃত ছবি আপলোড করে তাদের ‘নিলাম’ করা হত। সেই অ্যাপ নির্মাতা নীরজ বিষ্ণোই এহেন কাজ করে একেবারেই অনুতপ্ত নয়। বরং সে দাবি করেছে এই কাজ করে সে ‘গর্বিত’। এর আগে নিজের পরিচয় লুকিয়ে টুইটারে নীরজ দাবি করেছিল সে নেপালের কাঠমান্ডুর বাসিন্দা। সে আরও দাবি করেছিল যে এই অ্যাপ তৈরি করার জন্য তাকে পাকিস্তানিরা টাকা দিয়েছিল।নীরজ বুল্লি বাই অ্যাপ কাণ্ডে ধৃত বাকি তিনজনকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করে মুম্বই পুলিশকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছিল। এই আবহে শেষ পর্যন্ত তাকে দিল্লি পুলিশের IFSO স্পেশাল সেল গ্রেফতার করে। ২১ বছর বয়সী নীরজ ভোপালে অবস্থিত ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যাম্পাসের পড়ুয়া। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে নীরজ। পুলিশ জানিয়েছে গিটহাবে বুল্লি বাই অ্যাপটি তৈরির পরিকল্পনা এই নীরজেরই। নীরজই এই অ্যাপটি তৈরি করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের ফোন ব্যবহার করে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছিল নীরজ। সেই ফোনগুলি এবং নীরজের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।এর আগে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরাখণ্ড থেকে ১৮ বছর বয়সী শ্বেতা সিংকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ দাবি করেছিল, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড হল শ্বেতা। ঘটনায় শ্বেতার বন্ধু ২০ বছর বয়সী ময়ঙ্ক রাওয়াতকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে বেঙ্গালুরু থেকে বিশাল কুমার ঝা নামক এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই গ্রেফতারির পরই নীরজ @giyu44 নামক টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে দাবি করেছিল, ঘটনায় ধৃত কেউই আসল মাস্টারমাইন্ড নয়। ধৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিও করেছিল সে। পাশাপাশি সে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ধৃতদের না ছাড়া হলে বুল্লি বাই ২.০ তৈরি করা হবে।গ্রেফতার হওয়ার পর নীরজ পুলিশকে জানায়, বুল্লি বাই কাণ্ডে তার ‘অনলাইন বন্ধুদের’ গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পরই সে @giyu44 নামক টুইটার হ্যান্ডলটি তৈরি করেছিল। সে দাবি করে যে ধৃত স্বেতা এবং বিশালের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সে অ্যাপটি প্রমোট করে। সে এই পুরো অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। সে বলে, ‘আমি যা করেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’