গুজরাটে সাংঘাতিক ঘটনা। ছয় সপ্তাহের মধ্যে দু'বার ছুরি দেখিয়ে ২২ বছরের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে এক বিবাহিত যুবকের (২৯) বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভাবনগর জেলার তালাজা শহরের।ইতিমধ্যে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার ধর্ষণের পর নির্যাতিতা হেল্পলাইন নম্বর ১৮১-তে ফোন করেন। এরপরেই গত বুধবার ওই তরুণীকে তালাজা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে গ্রামেরই এক যুবকের সম্পর্ক ছিল।আর এই সম্পর্কের কথা জানতো তরুণীর দাদা। অভিযোগ, অভিযুক্ত এই সম্পর্কের কথা বলে তার বোনকে রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন। অভিযুক্ত যুবক একজন গাড়ি চালক। তাঁর এক সন্তানও রয়েছে। গত ১৩ জুলাই তার স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান।সেই সুযোগে ছুরি দেখিয়ে বোনকে প্রথমবার ধর্ষণ করে ওই যুবক।এরপর গত ২২ অগস্ট দ্বিতীয়বার বোনকে ধর্ষণ করে দাদা। সেই সময় অভিযুক্তের স্ত্রী কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন।শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, নির্যাতনের সময় দাদা তার উরুতে জ্বলন্ত বিড়ির ছেঁকা পর্যন্ত দিয়েছে।
জানা গেছে, নির্যাতিতা একই বাড়িতে তাঁর দাদা এবং বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। পুলিশ আধিকারিক ডিপি খাম্ভলা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে অভিযুক্তের ব্যবহৃত ছুরি, পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত উভয়েরই মেডিকেল পরীক্ষা এবং বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর প্রাসঙ্গিক ধারা - ৬৪(২)(এফ)(এম) এবং ১১৫(২)-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের অরাইয়ার খুড়তুতো বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি, মৃতদেহকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে প্রমাণেরও চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। শেষপর্যন্ত অতিসক্রিয়তায় ধরিয়ে দেয় তাঁকে।পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেত্রিশের অভিযুক্ত যুবক তাঁর কাকার বাড়িতে যান। সেখানে বছর চোদ্দোর খুড়তুতো বোনের কাছে রাখি পরেন। ওইদিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় ফের কাকার বাড়িতে যান ওই যুবক।অভিযোগ, খুড়তুতো বোনকে ধর্ষণের পর খুন করেন তিনি। তারপর মৃতদেহে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেন। ওই কিশোরীর বাবা পাশের রুমেই ঘুমোচ্ছিলেন। কিন্তু, তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। পরদিন সকালে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন তিনি।