বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার জামিন পেলেন অতুল সুভাষের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া। তিনি ছাড়াও জামিন পেয়েছেন নিকিতার মা নিশা ও ভাই অনুরাগ সিংহানিয়া। উল্লেখ্য, এই মামলায় প্রথম থেকেই প্ররোচনা ঘিরে অভিযোগের তীর ছিল অতুল সুভাষের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের দিকে। একটা সময়, এই মামলায় নিকিতার বাড়ি উত্তর প্রদেশে গিয়েও তল্লাশি চালায় বেঙ্গালুরু পুলিশ। পরে হরিয়ানা থেকে নিকিতাকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
বেঙ্গালুরু সিটি সিভিল কোর্ট এদিন নিকিতা সিংহানিয়া সহ তাঁর মা ও ভাইকে জামিন দিয়েছে। উল্লেখ্য, ৩৪ বছরের অতুলের স্ত্রী নিকিতাকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। প্রয়াত অতুলের মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের হয়।
এর আগে, বেঙ্গালুরুর মারাথাল্সিতে গত ৯ ডিসেম্বর মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অতুল সুভাষকে। তাঁর মৃত্যুর আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ চলছিল তাঁর স্ত্রী নিকিতার। অতুল এক ২৪ পাতার চিঠিতে নিকিতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন বলে জানা যায়। সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও একটি ৯০ মিনিটের ভিডিয়োও রেখে গিয়েছেন অতুল। সেখানেও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও অভিযোগ ছিল, তাঁদের সন্তানের জন্য ২ লাখ টাকা প্রতি মাসে খরপোষ দেওয়ার দাবি করেছেন অতুলের স্ত্রী নিকিতা। ডিভোর্স ঘিরে প্রথমে নিকিতা ১ কোটি টাকা দাবি করেন বলেও অভিযোগ ছিল। পরে সেই অঙ্ক ২ কোটি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন সুভাষ।
( 32 Years Without Bath: মহাকুম্ভে ভাইরাল ছোটু বাবা! ৩২ বছর স্নান করেননি কেন? প্রশ্ন শুনেই বললেন...)
অতুলের স্ত্রীকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যখন তার মা এবং ভাইকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই গ্রেফতারি চালায় বেঙ্গালুরু পুলিশ। উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুতে বসবাস করলেও, নিকিতা ও অতুল উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে অতুলের মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে উত্তর প্রদেশে যান বেঙ্গালুরু পুলিশের কর্তারা। সেখানে ও গুরুগ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।