বাংলাদেশের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী মহম্মদ ইউনুসের অন্তরবর্তীকালীন সরকার অসাংবিধানিক বলে দাবি করা হচ্ছিল। তবে এবার বাংলাদেশ হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলেন ইউনুসরা। এক রায়ে বাংলাদেশ হাই কোর্ট বাংলাদেশের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ বাতিল করার রায় দিল। তাতেই বলা হয়েছে, কোনও একটি দলীয় সরকারের অধীনেই যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে বলে সংশোধনী আনা হয়েছিল, তা অবৈধ। এই আবহে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচনে আর কোনও বাধা থাকল না। আজ সকালে বাংলাদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। তবে তাতে গোটা পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে ২০১১ সালে এই সংশোধনী পাশ হয়েছিল বাংলাদেশ সংসদে। এদিকে এর আগেই অবশ্য নিজের সরকারকে 'আইনি বৈধতা' দেয়ার জন্যে 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪' প্রকাশ করেছিলেন ইউনুস। (আরও পড়ুন: পেশ হল 'এক দেশ,এক নির্বাচন' বিল, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব আইনমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: 'এর জন্যেই পাক সেনাদের...', ৭১'এ বাঙালি মহিলাদের ধর্ষণ নিয়ে বিস্ফোরক তথাগত রায়
এদিকে সোমবার বিজয় দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্য়ে ভাষণে সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস জানিয়ে দিলেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে হতে পারে বাংলাদেশের নির্বাচন। প্রসঙ্গত, অগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে কবে হবে বাংলাদেশের নির্বাচন। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, কয়েক মাসের মধ্যেই নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। তবে ইউনুসের সরকার এখনই ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ। সংস্কারের দোহাই দিয়ে তারা বাংলাদেশের গদিতে বসে আছে। এই আবহে ইউনুসের বক্তব্য, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরে খতিয়ে দেখা হবে যে আর কোনও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে কি না। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। (আরও পড়ুন: 'প্যালেস্টাইন' অতীত, আজ 'বাংলাদেশ' লেখা ব্যাগ নিয়ে সংসদে হাজির প্রিয়াঙ্কা গান্ধী)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশিগুলো বেশিরভাগ নিজের সেনা হাতে মরে...', পালানোর পরামর্শ পেলেন ইউনুস
ইউনুস বলেন, 'রাজনৈতিক ঐক্যমত, ছোট ছোট সংস্কার-সহ ত্রুটিহীন ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে সাধারণ নির্বাচন করা হলে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। তারপরই চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট জানানো হবে। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত সংস্কার কিংবা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে আরও অন্তত ৬ মাস সময় লাগবে। এই মুহূর্তে দেশের সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণ প্রজন্মকে। ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ৷ তাঁদের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। তাই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করে তবেই সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা সম্ভব।'