১৯৭১ সালে কয়েক লাখ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল ভারত। তবে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে এবছরের বিজয় দিবস নিয়ে জল্পনা ছিল সীমান্তের উভয় দিকেই। এরই মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশিদের 'সোশ্যাল মিডিয়া লড়াই' জারি আছে। এহেন পিস্থিতিতে ১৯৭১ সালে বাঙালি মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাত রায়। তাঁর কথায়, 'এই ধরনের নমুনা দেখা যাবে বলেই জেনারেল টিক্কা খান পাকিস্তানি সেদানের পরামর্শ দিয়েছিলেন বাঙালি মহিলাদের পেটে পাকিস্তানি বীজ বপণ করে দিয়ে যেতে।' (আরও পড়ুন: 'ভারতের কাছে বাংলদেশের সার্বভৌমত্ব লিজ রেখেছিল…', বিস্ফোরক বাংলাদেশের সারজিস আলম)
আরও পড়ুন: সদর দফতর থেকে ৭১'র পাক আত্মসমর্পণের ছবি সরানো নিয়ে বিতর্ক, কী বলল সেনা?
আরও পড়ুন: 'আমাদের দুই শত্রু: মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ', মন্তব্য বাংলাদেশি নেতার
আজ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তথাগত রায় লেখেন, 'নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনী গেরিলারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। একইভাবে নিঃসন্দেহে তারা আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারত না, যদি না ভারতীয় সেনাবাহিনী এসে তাদের পরাজিত করত। এছাড়াও নিঃসন্দেহে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনী শুধু পাকিস্তানিদের সাথেই নয়, বিহারি মুসলমান এবং বাঙালি মুসলমান রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামসের সাথেও যুদ্ধ করেছিল। চুকনগর এবং রায়ের বাজারের জঘন্য হিন্দু বিরোধী গণহত্যায় এই অধস্তনরা পাকিস্তানিদের সাহায্য করেছিল।' (আরও পড়ুন: 'প্যালেস্টাইন' অতীত, আজ 'বাংলাদেশ' লেখা ব্যাগ নিয়ে সংসদে হাজির প্রিয়াঙ্কা গান্ধী)
এরপর তথাগত রায় লেখেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশের শাসকদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের রাজাকারদের বংশধর। এই ধরনের নমুনা দেখা যাবে বলেই জেনারেল টিক্কা খান পাকিস্তানি সেদানের পরামর্শ দিয়েছিলেন বাঙালি মহিলাদের পেটে পাকিস্তানি বীজ বপণ করে দিয়ে যেতে।' এরপরে অপর একটি পোস্টে তথাগত রায় বাংলাদেশকে তোপ দেগেছে লেখেন, 'মানুষগুলিকে চিনতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পাকিস্তানী সেনানায়ক আমির আবদুল্লা খান নিয়াজী পোষা ভেড়ার মত ভারতীয় সেনানায়ক জগজিৎ সিং অরোরার কাছে নিজের বাহিনীকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করছে।' সঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালের সেই আইকনিক ছবিটি পোস্ট করেন। (আরও পড়ুন: 'পাশে থাকতে হবে', বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সংসদে প্রতিবাদ বিরোধীদের)
আরও পড়ুন: পেশ হল 'এক দেশ,এক নির্বাচন' বিল, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব আইনমন্ত্রীর
এরপর তথাগত আরও লেখেন, 'হ্যাঁ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে, মুক্তিবাহিনীর কাছে নয়। তাতে মুক্তিবাহিনীর গুরুত্ব কমে না, শুধু প্রমাণ হয়, পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল ভারতীয় সেনারাই, মুক্তিবাহিনী নয়। আর একটা কথা। এই পাকিস্তানি সেনারা কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে বন্ধুহীন ছিল না। তাদের বন্ধু ছিল বিহারি মুসলমানেরা, ছিল রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামাতে ইসলামি, নিজামে ইসলামিরা, যাদের উত্তরাধিকারীরা আজ বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করেছে।'