সোমবার 'প্যালেস্টাইন' লেখা ব্যাগ নিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেই নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। একদিকে বিজেপির অনেকেই যেখানে প্রিয়াঙ্কার সমালোচনা করেছিলেন, সেখানে পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হোসেন প্রিাঙ্কার প্রশংসা করেছিলেন। তবে 'প্যালেস্টাইন' এবার অতীত। আজ সংসদে 'বাংলাদেশ' লেখা ব্যাগ নিয়ে পৌঁছলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেই ব্যাগে বার্তা লেখা ছিল - 'হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের পাশে দাঁড়াতে হবে।' তবে প্রিয়াঙ্কা একা নন, কংগ্রেসের অন্য সাংসদেরাও একই ধরনের ব্যাগ নিয়ে সংসদে গিয়েছেন আজ। সংসদ ভবনের বাইরে বাংলাদেশ ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। (আরও পড়ুন: 'আমাদের দুই শত্রু: মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ', মন্তব্য বাংলাদেশি নেতার)
আরও পড়ুন: পেশ হল 'এক দেশ,এক নির্বাচন' বিল, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব আইনমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: 'ভারতের কাছে বাংলদেশের সার্বভৌমত্ব লিজ রেখেছিল…', বিস্ফোরক বাংলাদেশের সারজিস আলম
এর আগে গতকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে বলতে উঠে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারত সরকারের তরফ থেকে কাঙ্ক্ষিত ভূমকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হন প্রিয়াঙ্কা। এছাড়াও কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশ, গৌরব গগৈরাও ছিলেন সেখানে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় প্রিয়াঙ্কা সহ বাকি বিরোধী সাংসদদের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যাগ ছিল। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে 'অগণতান্ত্রিক' ভাবে মুছে ফেলতে ছক বাংলাদেশে? ভোট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: সদর দফতর থেকে ৭১'র পাক আত্মসমর্পণের ছবি সরানো নিয়ে বিতর্ক, কী বলল সেনা?
এদিকে বিরোধীদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শনকে পালটা কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি এটা দেখে অবাক। আমাদের বিরোধী দল সবসময় শুধু মুসলমানদের নিয়েই চিন্তিত। ভারতে 'সংখ্যালঘু' অর্থ বদলে গিয়েছে। কংগ্রেস এবং আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সংখ্যালঘু বলতে শুধু মুসলমানদেরই বোঝেন। তারা এখন হিন্দুদের জন্য আন্দোলন করছে, তাই এটা একটা বড় পরিবর্তন। সম্ভবত এটাই মোদী ম্যাজিক।' (আরও পড়ুন: 'নির্লজ্জ প্রচেষ্টা… বাংলা চুপ থাকবে না', 'এক দেশ, এক ভোট' ইস্যুতে তোপ অভিষেকের)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশিগুলো বেশিরভাগ নিজের সেনা হাতে মরে...', পালানোর পরামর্শ পেলেন ইউনুস
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে ভারতের রাস্তাতেও লোক নেমেছে। বাংলাদেশি মৌলবাদে বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে এখানে। ভারত সরকারও একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই আবহে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বহু বাংলাদেশি হিন্দু নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বিনা ভিসাতেই ভারতে ঢুকে পড়েছেন চোড়া পথে। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন এই আবহে। এদেশে গ্রেফতার হয়েও অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া থেকে ভারতের জেল ভালো