গত প্রায় চার দশক ধরে গন্ডারের প্রায় ২৬০০ শৃঙ্গকে রেখে দেওয়া হয়েছিল সরকারি কোষাগারে। এবার তার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার শৃঙ্গকে নষ্ট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম ক্যাবিনেট। বৃহস্পতিবার এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাবিনেট। ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চোরাশিকারি, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ও মৃত গন্ডারদের শরীর থেকে যে শৃঙ্গগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল সেগুলিই রাখা হয়েছিল ট্রেজারিতে। রাজ্যের ১২টি জেলায় রাখা রয়েছে এই শৃঙ্গগুলি। অসমের বন ও পরিবেশমন্ত্রী গুয়াহাটিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে আমাদের কাছে ২ হাজার ৬২৩টি শৃঙ্গ রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির মামলা এখনও বাকি রয়েছে। এগুলি নষ্ট করা যাবে না। বাকি ৯৪টি শিক্ষা ও প্রদর্শনীর জন্য সংরক্ষণ করা হবে। বাকি ২ হাজার ৪৭৯টি শৃঙ্গ নষ্ট করে দেওয়া হবে। এব্যাপারে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কিছুদিন আগে বিশেষজ্ঞরাও শৃঙ্গগুলি পরীক্ষা করে দেখেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ৯৪টিকে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের কাছেই একটি সংগ্রহশালায় রাখা হবে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি না থাকলেও চিন ও ভিয়েতনামে নানা প্রথাগত ওষুধ তৈরিতে গন্ডারের শৃ ব্যবহার করা হয়। কেরাটিন দিয়ে তৈরি এই শৃঙ্গের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচুর দাম। এর জেরেই চোরাশিকারিদের নজর পড়ে গন্ডারের প্রতি। এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসে আগেই প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় আড়াই হাজার শৃঙ্গকে নষ্ট করে ফেলতে চাইছে বনদফতর। ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার জয়েন্ট ডিরেক্টর রথীন বর্মন বলেন, নানা কুসংস্কারের জেরেই গন্ডারের শৃঙ্গের দাম এভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি এগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হয় তবে এই বার্তা যাবে যে আমরাও কুসংস্কারে বিশ্বাস করি। অসমে যে শৃঙ্গগুলি রয়েছে তা নষ্ট করে ফেলা দরকার।