চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরই তাঁর মুক্তির দাবিতে তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভে নামেন। চট্টগ্রামে হিন্দুদের এক প্রতিবাদ মিছিলে হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও প্রতিবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে সইফুল ইসলাম আলম নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।
এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুকে তোলা হয়। তাঁর জামিনের আবেদন সেখানে খারিজ হয়। তাঁকে জুডিশিয়াল কাস্টাডিতে পাঠানো হয়। তখনই চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়ই তাঁর প্রিজনভ্যান আটকে দেন অনুগামীরা। সেই সময় থেকেই বিক্ষোভ হয়। এক সূত্রের অভিযোগ, বিক্ষোভাকারীদের উপর হামলা হয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা। বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আদালত লাগোয়া রাস্তা অবরোধ করলে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা করে বিএনপি ও জামাত, বলে অভিযোগ।
বছর ৩৫র ওই শিক্ষানবীশ আইনজীবী সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নজিমউদ্দিন চৌধুরী সেদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছেন, এই আইনজীবীকে বিক্ষোভকারীরা চেম্বারের নিচে ধরে কুপিয়ে খুন করে। বিকেল সাড়ে চারটের দিকে সইফপলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে জানানো হয়েছে। সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৮ জন আহত হয়েছেন। এলাকার জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জনকে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এক আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আইনজীবীদের সঙ্গেও একটা সময় বিক্ষোভকারীদের সংঘাত হয়। তখনই সইফুলের মৃত্যু ঘটে বলে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, চেম্বারে গিয়ে সইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যদিও সেখানর পুলিশের উপকমিশনার জানিয়েছেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে, তবে কীভাবে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
গ্রেফতারির পর চিন্ময়কৃষ্ণ কী বললেন?
এদিকে, গ্রেফতারির পর চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু বলেন,' আমি কোনও রাজনৈতিক দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নই। আমরা ইসলামী দলসহ সকল দলকে অকৃত্রিম দাবির প্রতি সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানাই।' তিনি একইসঙ্গে বলেন,' আমরা এই দেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি এবং একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ চাই, যাতে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং বাংলাদেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারে।'