এক সার্চ অপারেশনের সময় মর্মান্তিত কাণ্ড ঘটে গেল তুরস্কের সেনায়। সদ্য উত্তর ইরাকে, তুরস্কের সেনার একটি দল গিয়ে চালাচ্ছিল সার্চ অপারেশন। তখনই গুহায় খোঁজ তল্লাশির সময় মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় নিহত হন বহু তুরস্কের সেনা জওয়ান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮। এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
কেন ইরানের গুহায় সার্চ অপারেশন চালাচ্ছিল তুরস্ক?
তুরস্কের সেনার এই ৮ সৈনিকের মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে এক খোঁজ তল্লাশি। যে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক কুরদিশ উগ্রপন্থা। উল্লেখ্য প্রায় ৪০ বছর ধরে ইরাকের কুরদিশ উগ্রপন্থী সঙ্গে সংঘাত চলছে তুরস্কের। সেই কুরদিশ উগ্রপন্থীদের হাতেই কয়েকজন তুরস্কের সৈন্যের কিছুদিন আগে মৃত্যু হয়। সেই মৃত সেনাদের অংশবিশেষ খুঁজতে উত্তর ইরাকের এক গুহায় অভিযান চালিয়েছিল তুরস্কের সেনা। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে, গত ২০২২ সালের মে মাসে কুরদিশ উগ্রপন্থীদের হাতে ওই তুরস্ক সৈনিকরা মারা যান। এরপর মৃতদের দেহাবশেষও পায়নি তুরস্ক। সেই মৃত সৈনিকদের দেহাবশেষ খুঁজতেই তুরস্কের সেনা ওই গুহায় অভিযান চালিয়েছিল। উল্লেখ্য, যে গুহায় তুরস্কের সেনা প্রবেশ করেছিল, সেটিকে একটি হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করত কুরদিশ পিকেকে উগ্রপন্থীরা। গুহায় ঢুকতেই রঙ হীন, গন্ধ হীন গ্যাসের বিষক্রিয়ার মধ্যে পড়ে যান সৈনিকরা। এমনই বলছে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। আর গুহার ভিতরেই মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ার জেরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা যাচ্ছে, গুহার ভিরতে ১৯ জন প্রবেশ করেছিলেন। যাঁদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কুরদিশ উগ্রপন্থী বনাম তুরস্কের সেনা:-
তথ্য বলছে, ১৯৮৪ সাল থেকে কুর্দদের সঙ্গে তুরস্কের সংঘাত চলছে। যার জেরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। সেই সংঘাতের আরও একটি পর্ব দেখা গেল সদ্য। কুরদিশস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকের সদস্যদের সঙ্গে সংঘাত চলছে তুরস্কের। যে তুরস্ক সদ্য ভারতের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিঁদুর' চলাকালীন পাকিস্তানকে মদত যুগিয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে সদ্য মুখ খুলেছে ভারতীয় সেনাও।
এদিকে, এর আগে, গত ২০২২ সালে উত্তর ইরাকে এপ্রিল মাস থেকে কুরদিশদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তাদের এই সংঘাত সিরিয়া ও ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত। তুরস্কের কাছে কুরদিশ উগ্রপন্থীরা সন্ত্রাসবাদী হিসাবে পরিচিত। সদ্য পিকেকে জানিয়েছে তারা অস্ত্রত্যাগে রাজি। তারা শান্তি আলোচনাতেও আগ্রহী বলে জানায়।