প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মরুরাজ্য। একটানা বৃষ্টিতে প্লাবিত রাজস্থানের একাধিক জেলা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ স্কুল-কলেজ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সাওয়াই মাধোপুর জেলা।সেখানে সুরওয়াল বাঁধের জল উপচে বড় বিপত্তি ঘটেছে। প্রবল জলস্রোতে গ্রামের কাছে প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা, ১০০ ফুট চওড়া এবং ৫৫ ফুট গভীর একটি বিশাল খাদ তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, অতি ভারী বর্ষণে রাজস্থানের ৮টি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তালিকায় রয়েছে কোটা, সাওয়াই মাধোপুর, টঙ্ক এবং বুন্দি। ইতিমধ্যে সাওয়াই মাধোপুর জেলার সুরওয়াল বাঁধের জল উপচে আশেপাশের একাধিক কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জাডাওয়াটা গ্রাম। জলস্রোতে ভেঙে গিয়েছে গ্রামের বহু বাড়ি, দোকান এবং মন্দির। পুরো এলাকায় কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বৃষ্টি যদি না থামে পরিস্থিতি আরও জটিল ও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন-'ছেলে ঘরে ফিরল!' নভোশ্চর শুভাংশুকে রাজকীয় সংবর্ধনা লখনউয়ের, আবেগে ভাসলেন মা
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে সেনা বাহিনী এবং রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। একই সঙ্গে আশপাশের এলাকার বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী করোদিলাল মীনা।তিনি মেশিনের সাহায্যে জল সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকদের। তবে গ্রামবাসীরা বলছেন, মাটির ক্ষয় রোষ করা প্রায় অসম্ভব।
আরও পড়ুন-'ছেলে ঘরে ফিরল!' নভোশ্চর শুভাংশুকে রাজকীয় সংবর্ধনা লখনউয়ের, আবেগে ভাসলেন মা
বেশ কয়েক দিন ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে রাজস্থানে। ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভেঙে গিয়েছে একাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি। যার জেরে শত শত মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।ইতিমধ্যেই দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।দুর্যোগ কবলিত এলাকা থেকে বহু মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি শুরু হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে সহায়তার জন্য একটি মি–১৭ হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ও কোটা-বুন্দির সাংসদ ওম বিড়লা ইতিমধ্যেই দুর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী জাতীয় সড়ক জলের তলায়। একইভাবে কোটা থেকে জয়পুর ও আশপাশের জেলাগুলিতে যাতায়াত করার সড়কপথও জলমগ্ন। এরমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজস্থানে।