ভারত বৃহস্পতিবার ১২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরাল। ভারতে কারাগারের সাজা শেষ করে এই ১২ পাকিস্তানে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফিরল। পাকিস্তান হাইকমিশন জানিয়েছে, পাকিস্তানে ফেরা ব্যক্তিদের এই দলে ছয় জন মত্স্যজীবী রয়েছে। পাক হাইকমশনের তরফে আরও বলা হয়েছে যে মুক্তি পাওয়া পাকিস্তানি নাগরিকদের মধ্যে একজন ৮০ বছরেরও বেশি বয়সী বৃদ্ধও রয়েছেন, যাঁর নাম মহম্মদ নাজির।
পাক হাইকমিশন এক টুইট বার্তায় লেখে, ‘ভারতে তাদের সাজা শেষ করা সমস্ত পাকিস্তানি বন্দিদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে পাকিস্তান হাইকমিশন।’ এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত সরকার ভারতীয় বন্দি এবং মত্স্যজীবীদের দ্রুত মুক্তি এবং প্রত্যাবাসনসহ সমস্ত মানবিক বিষয়গুলিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা ২০২২ সালে পাকিস্তানের হেফাজত থেকে ২০ জন ভারতীয় জেলেকে দেশে ফেরাতে সফল হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারত-পাক সম্পর্ক সর্বকালীন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিক আলোচনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিকে উভয় দেশই সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতি বছর কয়েক ডজন জেলেকে গ্রেফতার করে। দুই দেশই প্রতি বছর জানুয়ারি এবং জুলাই মাসে একে অপরের হেফাজতে থাকা বন্দিদের তালিকা বিনিময় করে।
এদিকে গত কয়েকদিনে গুজরাট উপকূল থেকে ১১টি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। বিএসএফের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকাগুলি হরমি নাল্লার বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিল। ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে কমান্ডোদের ৩টি দলকে বিভিন্ন জায়গায় নামিয়ে হরমি নাল্লার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় পাকিস্তানি নৌকাগুলিকে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের এক মাছ ধরার নৌকা করেই মুম্বই হামলার জঙ্গিরা পৌঁছেছিল ভারতীয় উপকূলে। তাই পশ্চিম উপকূলে পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকার গতিবিধির উপর কড়া নজর থাকে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর।