বর্ষাকালে একদিকে যেমন জলবাহিত নানা রোগ বেড়ে যায়, তেমনই অন্যদিকে রয়েছে মহিলাদের স্বাস্থ্যের কিছু সমস্যা। আভা সার্জি সেন্টারের চিকিৎসক বাণীকুমার মিত্রের কথায়, এই সময় স্ত্রীরোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। সেগুলো ঠেকাতে পারলেই স্ত্রীরোগ থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বর্ষায় স্ত্রীরোগের প্রকোপের কারণ
- ভেজা পোশাক - বর্ষায় স্ত্রীরোগ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে প্রধান কারণ হল ভেজা পোশাকের সংস্পর্শে দীর্ঘক্ষণ থাকা। স্যাঁতস্যাঁতে পোশাকের কারণে শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। যা থেকে গোপনাঙ্গে রোগ ছড়ায়।
- সিন্থেটিক অন্তর্বাস - সিন্থেটিক কাপড়ে তৈরি অন্তর্বাস এখন অনেকেই পরেন। ঘাম সহজে শুষে নিতে পারে না, এমন কাপড় বেশিক্ষণ পরে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। যার ফলে গোপনাঙ্গে রোগ বাসা বাঁধে।
- পাবলিক টয়লেট - বর্ষাকালে পাবলিক টয়লেট থেকে অনেক বেশি রোগ ছড়ায়। পাবলিক টয়লেটের বিভিন্ন জিনিসের সংস্পর্শে এলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। মূলত মূত্রনালির সংক্রমণ বা ক্যানডিডিয়াসিসের মতো রোগ দেখা দেয়।
- তীব্র ক্ষারের সাবান - অনেকেই তীব্র ক্ষারের সাবান ব্যবহার করেন। বর্ষাকালে এই ধরনের সাবান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি গোপনাঙ্গের ক্ষতি করে এই জাতীয় সাবান।
আরও পড়ুন - আমেরিকায় প্লেগ? ১ জনের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরেই টেস্টে পজিটিভ বিড়াল
স্ত্রীরোগের কী কী লক্ষণ?
গোপনাঙ্গের নানা রোগের মধ্যে অন্যতম হল চুলকানি, সাদা স্রাব বের হওয়া, অস্বস্তি হওয়া।
আরও পড়ুন - রাখির পূর্ণিমায় প্রিয় ভাইকে জানান শুভেচ্ছা! রইল সেরা ১০ বার্তার হদিস
সুস্থ থাকবেন কোন পথে?
- বর্ষাকালে সুতির পোশাক পরা সবচেয়ে ভালো। এই ধরনের পোশাক দ্রুত ঘাম শুষে নিতে পারে। যার ফলে গোপানাঙ্গে ঘাম জমে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না।
- গোপনাঙ্গে অনেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করেন। এই অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বর্ষায় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
- ভেজা পোশাক যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে ফেলা জরুরি। পোশাকের কারণে শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তাই বৃষ্টির সময় ব্যাগে একটা এক্সট্রা পোশাক রেখে দিতে পারেন। ভিজে গেলে এই পোশাক পরে নিতে পারেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এটি সমস্যাটি সম্পর্কে সাধারণ ধারণার উপর আলোকপাত করা মাত্র। ব্যক্তিবিশেষে প্রতিটি সমস্যার চিকিৎসা এবং নিরাময়ের পদ্ধতি পৃথক। তাই যে কোনও সমস্যায় শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনের কথায় ভরসা না রেখে, ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।