ভারতীয় শিশুদের একটি বড় অংশ কোনও টিকা পায়নি ২০২৪ সালে। সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীর শিশুসংখ্যার নিরিখে ভারতের টিকা পায়নি এমন শিশু রয়েছে মোট ৬.৪ শতাংশ। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার মোট শিশু জনসংখ্যার নিরিখে এই হার ৪৯.২ শতাংশ। এমন শিশুদের রিপোর্টে জিরো ডোজ চিলড্রেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেওয়া হয়নি গুরুত্বপূর্ণ টিকা
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক দফতর রিজিওনাল অফিস ফর সাউথ এশিয়া এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এইসব শিশুরা ডিটিপি (ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, পার্টুসিস) টিকাও পায়নি। প্রসঙ্গত, এই পরিসংখ্যান গোটা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। প্রতি বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন - শুভ কাজ শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায়? পকেটে রাখুন এই ৩ মশলা, পরাস্ত হবে শত্রুও
ভারতের অবস্থান উদ্বেগজনক
টিকাসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষক গ্যাভি ৫৭টি নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে মোট জিরো ডোজ শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ২ লক্ষ। এর প্রায় অর্ধেক বাস করে মাত্র পাঁচটি দেশে। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ভারত। এর পর রয়েছে নাইজেরিয়া, ডিআর কঙ্গো, পাকিস্তান এবং ইথিওপিয়া।
আগের তুলনায় পরিস্থিতি…
তবে কোভিডের সময় ডিটিপি টিকার হার চার শতাংশ কমে গিয়েছিল। বর্তমানে সেই হার ৮৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে গোটা বিশ্বের ৬.৪ শতাংশ টিকা না-পাওয়া শিশু ভারতে থাকলেও পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নত হয়েছে। ভারতে ২০২৩ সালে ১৬ লক্ষ শিশু কোনও টিকা পায়নি। কিন্তু ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখে। অর্থাৎ প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি শিশু টিকা পেয়েছে। অন্যদিকে টিকাদানের হার বেড়েছে নেপালেও। ওই দেশে ৫২ শতাংশ কমেছে টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা।
আরও পড়ুন - সম্পদে আনে জোয়ার, সন্তানের আশাও... ফেং শুই গাভী মূর্তি কীভাবে রাখবেন ঘরে?
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অবস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানে ডিটিপি-৩ টিকা সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। ৮৭ শতাংশ শিশু টিকা পেয়েছে সেই দেশে। তবে এর বিপরীতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বেশ খারাপ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই দেশে টিকাদানের হার এক শতাংশ কমেছে আগের তুলনায়।