কোনও শুভ কাজে বেরনোর আগে আমরা অনেকরকম প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। পাশাপাশি কাজগুলি যাতে ঠিকভাবে সম্পন্ন তার জন্য নানা পরিকল্পনাও করে রাখি। কিন্তু অনেক সময় শুভ কাজেও বাধা আসে। কাজটি শেষ হতে হতেও ভেস্তে যায় শেষ মুহূর্তে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ভীষণ ভেঙে পড়ি। শুভ কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়া আদতে অনেক গুরুতর ইঙ্গিত বহন করে। আমাদের জীবনেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
হেঁশেলের তিন মশলার গুণ
তবে আমাদের হেঁশেলের কিছু মশলা শুভ কাজে আমাদের শক্তি জোগায়। কোনও বেরনোর সময় যদি এই মশলা আমরা সঙ্গে নিয়ে বেরোই, তাহলে নেতিবাচক শক্তি পরাস্ত হয়। নেতিবাচক শক্তি আর শুভ কাজে বাধা দিতে পারে না। পাশাপাশি ইতিবাচক শক্তি আমাদের সঙ্গ দেয়। কাজটি শেষ পর্যন্ত ঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এই মশলাগুলির যেকোনও একটি সঙ্গে নিয়ে বেরোলে আপনার শুভ কাজও ঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন - টাকার পাহাড় দেখবেন ঘরে! মানি প্ল্যান্ট নয়, বাড়িতে রাখুন কুবেরের প্রিয় এই গাছ
কোন কোন মশলা?
১. গোলমরিচ - যেকোনও শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়ার আগে একটি সাদা কাগজে সাতটি গোলমরিচ মুড়িয়ে রেখে দিন। এই গোলমরিচগুলি আপনার নিজের পকেটে রাখতে পারেন অথবা ব্যাগে খুব যত্ন করে রাখতে পারেন। লক্ষ রাখুন, কোনও গোলমরিচ যাতে হারিয়ে না যায়। কাজ শেষ হয়ে গেলে এই গোলমরিচ বাড়ি এনে আবার আগের জায়গায় রেখে দিন। আপনার কাজ শুভভাবেই সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন - অন্যের বাড়ি থেকে আনা এই জিনিস সংসারে দারিদ্র বয়ে আনে, অশান্তি ডেকে আনে পরিবারে
২. লবঙ্গ - লবঙ্গ নেতিবাচক শক্তিকে পরাহত করতে বিশেষ উপকারী একটি মশলা। লবঙ্গকে প্রাচীনকাল থেকেই তাই জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব অর্পণ করা হয়ে এসেছে। কোনও দরকারি কাজে যাওয়ার আগের মুহূর্তে একটি কাগজের মধ্যে পাঁচটি লবঙ্গ মুড়ে নিন। এই কাগজটি আপনার পকেটে বা কোনও নিরাপদ স্থানে রাখুন। লক্ষ রাখুন, যাতে হারিয়ে না যায় সেগুলো। এতে আপনার কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। ভেস্তে যাবে না শেষ মুহূর্তে।
৩. এলাচ - বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে এলাচ দানা রাখলেও আপনার কাজে বাধা আসবে না। এর জন্য একটি কাগজের মধ্যে তিনটি এলাচ দানা নিয়ে কাজে বেরোন। অনেকেই কাঁচা এলাচ খেতে পছন্দ করেন। ঝাঁঝে অসুবিধা না হলে এলাচ মুখে পুরেও বেরোতে পারেন বাড়ি থেকে। এতেও কাজ অনুযায়ী শুভ ফল পাওয়া যায়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।