ছুটি কাটিয়ে ফেরার পথে, প্লেনে উঠেই ঘনিষ্ঠ হলেন দুজনে। সহযাত্রীদের চোখে পড়তেই হুলুস্থূল কাণ্ড। সরাসরি অভিযোগ জানানো হল বিমান ক্রু-দের কাছে। সহযাত্রীদের বিব্রত করার জন্য তাঁদের প্লেন থেকে নামিয়ে দেওয়া তো হলই। আইনি বিপাকও পিছু ছাড়ল না তাঁদের। এদিন, তারই শুনানি ছিল আদালতে।
গত মার্চ মাসের ঘটনা। ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে ঘটেছিল। অনুপযুক্ত আচরণের জন্য ব্রিটিশ কাপল, ব্র্যাডলি স্মিথ এবং অ্যান্টোনিয়া সুলিভানকে জনসাধারণের সামনেই যৌন কার্যকলাপের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। গত ৩ মার্চ, স্পেনের টেনেরিফ থেকে ছুটি কাটিয়ে ব্রিস্টলে ফেরার পথে সকাল ৭টায় এই কাণ্ড ঘটান তাঁরা।
আরও পড়ুন: (California Smartphone Ban: স্কুলে নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, নতুন আইন আনল ক্যালিফোর্নিয়া)
ঠিক কী ঘটেছিল
এদিন ২২ বছরের ব্র্যাডলি সিট ১৬এ এবং ২০ বছরের আন্তোনিয়া ১৬বি সিটে বসে ছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১৬সি সিটে বসা একজন সহযাত্রী, তাঁদের পিছনে সারিতে বসা মা ও মেয়ে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরাই জানিয়েছেন যে টেকঅফের কিছুক্ষণ পরে, ব্র্যাডলি অ্যান্টোনিয়াকে যৌন কাজ করতে বলেছিলেন। এরপর ব্র্যাডলির কোলে কাপড় খুলে রেখেই ভিড় ফ্লাইটেই অশ্লীল কাজ করতে শুরু করেন অ্যান্টোনিয়া।
প্রসিকিউটর মারি ডয়েল ব্রিস্টল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে বলেছেন। কয়েক মিনিট পর, সহযাত্রী দেখেন যে ব্র্যাডলির কোল কোট দিয়ে ঢেকে রেখে, কোটের নীচে জোরে জোরে হাত নড়াচড়া করছেন। তাঁদের পিছনে কিশোরী মেয়ের সঙ্গে বসে থাকা মাও দেখতে পাচ্ছিলেন কী ঘটছে। এরপর বিচলিত মা কেবিন ক্রুকে সবটা জানালে, অ্যান্টোনিয়া প্রথমে দাবি করেন যে তিনি কেবল তাঁর প্রেমিকের পা ঘষছিলেন। যাইহোক, পুলিশ অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কাপলকে বিমান থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। জনসমক্ষে যৌন কাজ করে, শালীনতাকে নষ্ট করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন দুজনেই।
দুজনের শাস্তি কী
তিনজন সাক্ষীর প্রত্যেককে ১০০ পাউন্ড (প্রায় ১১,০০০ টাকা) করে দিতে হবে তাঁদের। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। ব্র্যাডলিকে ৩০০ ঘণ্টা কমিউনিটি সার্ভিসের সাজা দেওয়া হয়, আর অ্যান্টোনিয়াকে ২৭০ ঘণ্টার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।