কলকাতা: চা ছাড়া অনেকেরই দিন কাটতে চায় না। কিন্তু বাজারের আর পাঁচটা জিনিসের মতো এখন চা-ও ছাড় পাচ্ছে না। চায়ের মধ্যেও মিশছে নানা ভেজাল দ্রব্য। যার মধ্যে কিছু কিছু জিনিস আবার শরীরের জন্য বিষের সমতুল্য (Health News)। সম্প্রতি এই মর্মে কেন্দ্রীয় খাদ্যসুরক্ষা ও গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চিঠি দিল টি বোর্ড। ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে (FSSAI) দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চায়ের মধ্য়ে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে কীটনাশক মেশাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। কিছু কীটনাশক শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে বলে জানিয়েছে টি বোর্ড (Tea Board On Adulteration)।
চা-পাতার মধ্যে ক্ষতিকর কীটনাশক
চা-পাতার মধ্যে ক্ষতিকর কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামী সংস্থার চায়ে। তবে এর পাশাপাশি চায়ের গুণমান নিয়েও বড়সড় অভিযোগ রয়েছে টি বোর্ডের। বোর্ডের চিঠিতে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ সংস্থাই নির্দিষ্ট গুণমান না মেনে চা তৈরি করছেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েক মাস আগে অভিযোগ পেয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা প্রস্তুতকারী সংস্থায় হানা দিয়েছিল টি বোর্ড। সেখান থেকে প্রায় ২১ হাজার কিলো চা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই বিপুল পরিমাণ চা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। এনএবিএল অনুমোদিত পরীক্ষাগারে পাঠানো সেই চায়ের নমুনাগুলির প্রতিটিই পরীক্ষায় ‘ফেল’ করে যায়। এফএসএসএআই (FSSAI) নির্ধারিত কোনও মানদণ্ডেই পাশ করতে পারেনি চায়ের নমুনাগুলি। চা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব সম্প্রতি এই মর্মেই চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যসুরক্ষা ও গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।
আরও পড়ুন - Health News: ভ্রুণের পেটে ভ্রণ! বিরলতম ঘটনার সাক্ষী এনআরএস, কী অবস্থা শিশুর?
কী কী কীটনাশকের খোঁজ মিলেছে চায়ে?
- ইমিডাক্লোপ্রিড, মোনোক্রোটোফস, অ্যাশটামিপ্রিডের মতো নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া গিয়েছে।
- প্রতি কেজিতে এই ধরনের কীটনাশক ০.০১ মিলিগ্রাম থাকার কথা। সেখানে কোনও কোনও নমুনায় ১ মিলিগ্রামের থেকেও বেশি পাওয়া যাচ্ছে এই কীটনাশক।
কোন কোন ক্ষেত্রে গাফিলতি?
- চায়ের বর্জ্য পদার্থও চায়ে মেশানো হচ্ছে।
- যে ধরনের যন্ত্রাংশে চা তৈরি হচ্ছে, সেগুলির মান নিম্ন।
- চা প্রস্তুতকারী কারখানার পরিবেশও স্বাস্থ্যকর নয়।
- এফএসএসএআই-র যে মানদণ্ড মেনে চা তৈরি হওয়ার কথা, সেটি মানা হচ্ছে না। যার ফলে শরীরের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে চা পাতা।