ভারতের অন্যতম প্রাচীন ভাষা সংস্কৃত। বেদ থেকে মহাভারত, বিবিধ পুরাণ থেকে রামায়ণের মতো মহাকাব্য এই ভাষাতেই রচিত। বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংস্কৃতচর্চা একরকম অবলুপ্ত বলা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের আদি মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে, সংস্কৃতকে লোকভাষা করার সঙ্কল্পে সাতদিনব্যাপী আয়োজন করা হল সংস্কৃত সপ্তাহের। হাওড়ার রামগোপাল মঞ্চে এই সংস্কৃত সপ্তাহ মহোৎসবের আয়োজনে হয়। আয়োজনে ছিল দেবলোক সোশিও কালচারাল ফাউন্ডেশন, হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ ও ঋতম্ভরা।
সাতদিন ধরে অনন্য অনুষ্ঠান
শ্রাবণী পূর্ণিমার তিন দিন আগে থেকে পূর্ণিমার তিন দিন পর পর্যন্ত সময়কে সংস্কৃত সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়। ২০২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটিমাত্র স্থানে সাত দিন ব্যাপী সংস্কৃত সপ্তাহ পালিত হয়েছে আর সেটি হল রামগোপাল মঞ্চ। সাতদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৮ আগস্ট বাংলার ২২শে শ্রাবণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতের সংস্কৃত অনুবাদ এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়।
ঠুংরি পরিবেশনা থেকে রবীন্দ্র নৃত্য
এবারের অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তীর কণ্ঠে আচার্য্য অনুভব হাজরা রচিত সংস্কৃত ঠুংরির উপস্থাপনা। ১৩ অগস্ট সংস্কৃত সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃত রবীন্দ্র নৃত্য, স্তোত্র, সুভাষিত, সঙ্গীত, অনুবাদিত সঙ্গীত, পরিবেশ বান্ধব নৃত্য ইত্যাদির মাধ্যমে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়।