বিয়ের পর এক দম্পতির জীবন অনেক বদলে যায়। বিশেষ করে মেয়েদের সম্পূর্ণ নতুন ঘর, নতুন পরিবেশ এবং নতুন মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। এই খাপ খাইয়ে নেওয়ার সময় সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকা স্বাভাবিক। এই বিষয়গুলি যখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে তখনই সমস্যা শুরু হয়।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক সময় শ্বশুর-শাশুড়ি দম্পতির মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িত থাকেন। এমনটা নয় যে, শ্বশুর-শাশুড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেন। বরং অনেক সময় অজান্তেই, এমনকি না চাইলেও, দম্পতির সম্পর্ক নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়। প্যারেন্টিং কোচ শ্বেতা গান্ধী এমন কিছু কারণ সম্পর্কে বলছেন, যখন অজান্তেই বাবা-মা নিজেই সন্তানদের বিবাহিত জীবন নষ্ট করে।
স্বামী যখন বাবা-মায়ের প্রতি বেশি অনুগত হন
বিশেষজ্ঞ শ্বেতা বলেন যে সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন স্বামী তার সম্পর্কের চেয়ে তার বাবা-মায়ের প্রতি বেশি অনুগত হন। বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা এবং স্নেহ থাকা খারাপ নয়। কিন্তু এখন আপনি বিবাহিত এবং আপনার সঙ্গীর প্রতিও আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। শ্বেতা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত একটি ত্রিভুজ তৈরি হয় যেখানে স্বামী তার বাবা-মা এবং স্ত্রীর মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বুঝতে পারেন না কাকে সমর্থন করবেন এবং কাদের কথা শুনবেন। এই ধরনের পরিস্থিতি প্রায়শই সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে।
যখন সম্পর্কের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করা হয় না
বিরোধের দ্বিতীয় প্রধান কারণ হল সম্পর্কের মধ্যে স্পষ্ট সীমানা না থাকা। যখন সম্পর্কের মধ্যে কোনও সীমানা থাকে না এবং অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ থাকে, তখন স্পষ্টতই ঝগড়া হয়। অনেক বাড়িতে ব্যক্তিগত স্থান বলে কিছু থাকে না, যার কারণে অনেক সময় পুত্রবধূর মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। এখানে এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে চায় এবং কেউই অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না।
আপনার সঙ্গীকে গুরুত্ব না দেওয়া
যদি স্বামী তার সঙ্গীকে তার অগ্রাধিকার না দেয়, তাহলে সমস্যাটি সেখান থেকেই শুরু হয়। আজ পর্যন্ত আপনার বাড়িতে যা ঘটছে তা এখন গুরুত্বপূর্ণ নয় কারণ কেবল অন্য ব্যক্তি মানিয়ে নেবে তা নয়, আপনাকেও কিছুটা করতে হবে। শ্বেতা বলেন যে বিয়ে হল দুটি প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সম্পর্ক, তাদের বোঝা উচিত যে এখন তারা দুজনেই একে অপরের অগ্রাধিকার। পরিবারের সদস্যদেরও তাদের সম্পর্ককে সম্মান করা উচিত এবং বোঝা উচিত যে এখন তারা দুজনেই একে অপরের অগ্রাধিকার।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।