Shantiniketan Poush Mela Memories: ছোট থেকেই শান্তিনিকেতন তাঁর ঘর, পাঠশালা। বিশ্বভারতীই শিক্ষাক্ষেত্র আবার বিশ্বভারতীই কর্মক্ষেত্র। শান্তিনিকেতনে ‘আশ্রমিক’ বলতে আক্ষরিক অর্থে যা বোঝানো হয়, অনিলবাবু ঠিক তা-ই। একদা পাঠভবনের পড়ুয়া জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বর্তমানে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক। পৌষমেলার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। চার বছর পর ট্রাস্টের প্রচেষ্টায় সফলভাবে আয়োজিত হল পৌষ মেলা। ঐতিহ্য মেনে চিরাচরিত আদলে। আয়োজনের ব্যস্ততার ফাঁকেই HT বাংলার সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে শৈশবের স্মৃতিতে ফিরলেন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। ফিরে এল পুরনো পৌষ মেলার নস্টালজিক কথা-দৃশ্য। শ্রোতা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আরও পড়ুন - ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনের প্রথম পৌষ মেলা, ভিন্ন আবেগের সাক্ষী হল HT বাংলা
পুরনো মেলার মাঠের স্মৃতি
১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করে বিশ্বভারতীকে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায় রবীন্দ্রনাথের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্কুলে ভর্তি হন অনিল। পাঠভবনে, ক্লাস টুয়ে। প্রায় ৭২ বছর আগের কথা। সে সময় পৌষ মেলার আয়োজন হত পুরনো মেলার মাঠে। ছাতিমতলার কাছে ওই মাঠে দোকান যে খুব বেশি বসত, তা নয়। অল্প সংখ্যক কিছু মণিহারির দোকান, গ্রামীণ কুটির শিল্পের জিনিসই বেশি। এছাড়া দু-একটা মিষ্টির দোকান, একটা রেঁস্তরার স্টল। ছোটদের কাছে মেলা মানেই এক বাঁধভাঙা আনন্দ। কথায় কথায় বললেন, ছোটবেলার পছন্দের খেলনাগুলির কথা। ‘মার্বেলের খেলার খুব চল ছিল তখন। মেলায় গেলে প্রথমেই খোঁজ পড়ত ওগুলি। এছাড়াও প্রিয় ছিল একধরনের স্প্রিংয়ের মতো খেলনা। নাম না জানা ওই খেলনাটি প্রায়ই কেনার তালিকায় থাকত।’
আরও পড়ুন - কেন ৭ পৌষেই শুরু হয় শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ? নেপথ্যে দেবেন্দ্রনাথের এই কাহিনি
‘এখনকার ছেলেমেয়েরা শুনলে হাসবে’
‘মেলায় তখনকার দিনে বিভিন্ন ঘরোয়া দ্রব্য, রান্নার জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসত আশেপাশের গ্রাম থেকে। অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র তখনও বাজারে ঠিকমতো ওঠেনি। ফলে লোহার হাড়ি, খুন্তি খুব বিকোত। এখনকার ছেলেমেয়েরা শুনলে অবশ্য হাসবে।’ মেলার চেহারা যে দিন দিন পাল্টাচ্ছে সে কথা মেনে নিলেন রসায়নের প্রাক্তন অধ্যাপক। এই বদলকে সমর্থন করেন বলেই জানালেন তিনি।