সুন্দর লম্বা, ঘন চুল কেবল আপনার মুখের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং সুস্বাস্থ্যের লক্ষণও বটে। তবে, আজকাল ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রা, ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং চুলে রাসায়নিক ট্রিটমেন্টের ফলে বেশিরভাগ মানুষের চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উদ্বেগের বিষয় হল, ৩৫ বছর বয়সের পর মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করে। যদি আপনিও চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এর আসল কারণ এবং চিকিৎসা জেনে নিন। ৩৫ বছর বয়সের পর মহিলাদের চুল পড়ার কারণ
হরমোনের পরিবর্তন - ৩৫ বছর পর মহিলাদের শরীরে অনেক ধরণের হরমোনের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। কিন্তু ৪০ বছর বয়সের মধ্যে এই পরিবর্তনগুলি অনেক বেড়ে যায়। এই বয়সে, অনেক মহিলা তাদের প্রিমেনোপজ পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, আবার বার্ধক্যের কারণে, কারও কারও শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমতে শুরু করে। এই দুটি হরমোনের হ্রাসের কারণে, চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং ভাঙতে শুরু করে।
পুষ্টির অভাব
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেমন আয়রন, ভিটামিন ডি, বায়োটিন এবং প্রোটিনের অভাবও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ জীবনে ক্রমবর্ধমান চাপও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। যে মহিলারা দীর্ঘ সময় ধরে চাপে থাকেন, তাদের চুলের বৃদ্ধি চক্র ব্যাহত হয়, যার ফলে চুল পড়ে।
শারীরিক সমস্যা
বয়স বাড়ার সাথে সাথে, যদি আপনার থাইরয়েড ডিসঅর্ডার, ডায়াবেটিস বা অটোইমিউন রোগের মতো কোনও চিকিৎসা সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যাও হতে পারে। এ ছাড়া, কখনও কখনও রক্তচাপ, কেমোথেরাপি, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের মতো কিছু ওষুধ সেবনও চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
রাসায়নিক চিকিৎসা
অতিরিক্ত তাপ স্টাইলিং, রাসায়নিক চিকিৎসা বা চুলকে সুন্দর এবং ফ্যাশনেবল চেহারা দেওয়ার জন্য টাইট হেয়ারস্টাইল চেষ্টা করার ফলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
কী করবেন?
৪০ বছরের পরে চুল পড়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যাবে না তবে এটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এর জন্য, মহিলাদের তাদের খাদ্যতালিকায় আয়রন, ভিটামিন ডি, বায়োটিন এবং প্রোটিনের মতো কিছু পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চুলের শক্তির জন্য খাদ্যতালিকা এবং চুলের যত্ন উভয়ের দিকেই মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।