Hair Fall Issue: চুল পড়ার সমস্যা চিরন্তন। নানা কারণে এটি হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল রাতে শোওয়ার বালিশ। বালিশের কভার, বিশেষ করে কাপড়ের সঙ্গে চুলের ঘর্ষণ চুলকে দুর্বল করে দেয়। যে কারণে চুলের ডগা ফাটা, রুক্ষ, শুষ্ক চুল ও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বালিশের কভারে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া এবং তেল জমে থাকে। যা চুলের গোড়ায় আটকে যায় ও প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এর জন্যও চুল পড়তে পারে।
১. বালিশের কভারের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে ক্ষতি
সুতির বালিশের কভার: কভার চুল থেকে তেল এবং আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে। যার ফলে চুল শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। সারা রাত ধরে ঘষা লাগার ফলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে চুল ভেঙে যাওয়ার এবং ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।সিল্ক বা সাটিনের বালিশের কভার: এই উপকরণগুলি মসৃণ এবং আপনার চুল থেকে তেল শুষে নেয় না। ফলে চুলের সঙ্গে ঘর্ষণ কম হয় এবং ক্ষতি কম হয়।
আরও পড়ুন - ভারতের মাটিতে প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলে আজকের দিনেই! কেমন ছিল সেই যাত্রা?
২. ব্যাকটেরিয়া এবং জমে থাকা তেল
না ধোয়া বালিশের কভার: বালিশের কভার অনেকদিন না ধুলে তাতে তেল, মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া জমা হয়। যা আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে প্রবেশ করতে পারে। এটি চুলের ফলিকলে ব্লকেজ তৈরি করে। যার ফলে প্রদাহ এবং সম্ভাব্য চুল পড়া বাড়তে পারে।নিয়মিত ধোয়া: নিয়মিত (প্রতি ১-২ সপ্তাহ অন্তর) বালিশের কভার ধোয়া উচিত। এতে তেল আর মৃত কোশ বালিশে জমতে পারে না। ফলে চুলের ক্ষতিও কম হয়।
আরও পড়ুন - রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত রণবীর সমাদ্দার, স্বীকৃতি দীর্ঘ গবেষণা জীবনকে
৩. অন্যান্য কারণ: এটা মনে রাখা দরকার, রোজ কিছু চুল পড়া স্বাভাবিক (প্রতিদিন প্রায় ৫০-১০০ চুল)। তবে, তার বেশি চুল পড়লে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম (স্ট্রেস থেকে চুল পড়া) বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ থেকে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম দেখা দিতে পারে।, যা চুল পড়ার বাড়িয়ে দেয়।
হরমোনের ওঠানামা: যেমন প্রসবের আগে পরে থাইরয়েড হরমোনের ওঠানামার জন্য চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অনেকের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। তখনও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।