কলকাতার পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য অংশেও বর্ষার সময় ডেঙ্গি এবং ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। বহু সংখ্যক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। বেশিরভাগ ভাইরাল জ্বর সাধারণত হালকা ধরনের হয় এবং নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু ডেঙ্গির সংক্রমণ যদি প্রথম দিকেই শনাক্ত না করা হয়, তবে তা দ্রুত মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সিএমআরআই হাসাপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট চিকিৎসক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় জানালেন কিছু বিশেষ লক্ষণের কথা। তাঁর কথায়, এগুলি দেখলেই দ্রুত সতর্ক হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন - শ্বশুর-শাশুড়ির জেরে অজান্তে নষ্ট হতে পারে দাম্পত্য, কোন ৩ কারণে? বলছেন বিশেষজ্ঞ
ডেঙ্গির প্রাথমিক লক্ষণ
ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রথম দিকে, রোগীর লক্ষণগুলো সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতো মনে হতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে প্রবল জ্বর, তীব্র শরীর ব্যথা, মারাত্মক মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অস্বস্তি। ডেঙ্গি এবং অন্যান্য বেশিরভাগ ভাইরাল সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ডেঙ্গির লক্ষণগুলি তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং এর সঙ্গে চোখে ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি হয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (প্লেটলেট কমে যাওয়া) দেখা যেতে পারে। এমনও কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যেখানে রোগীর দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত, এপিস্ট্যাক্সিস (নাক দিয়ে রক্তপাত) বা ত্বকে রক্তক্ষরণ/লাল দাগ দেখা যায়, যা অবিলম্বে জরুরি বিভাগে যাওয়ার একটি সুস্পষ্ট কারণ। সাধারণ ভাইরাল জ্বর অবশ্য ৩-৫ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে সহায়ক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন - বয়স ৩০ ছোঁয়ার আগেই ঘুরে আসুন এই ৫ স্থান, লিস্টে রয়েছে উত্তরবঙ্গে একটি স্পটও
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
অসুস্থতার শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। ডেঙ্গির বিভিন্ন ধরন রয়েছে এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা স্বস্তি দেবে এবং হাইড্রেশন, পর্যবেক্ষণ ও সহায়ক চিকিৎসার মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে। এর ফলে ডেঙ্গি হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গি শকের মতো অবস্থায় পৌঁছানোর ঝুঁকি কমানো বা প্রতিরোধ করা যায়। চিকিৎসকরা প্রায়শই একটি সহজ রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে কিনা। বিশেষভাবে মনে রাখবেন, আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ দিয়ে নিজে নিজে চিকিৎসা করবেন না, কারণ এটি ডেঙ্গি রোগীদের রক্তপাতের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেবে।