গত বছর এক পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছিলেন বিক্রান্ত মাসে। চলতি বছর এক বছর পূর্ণ হয়েছে ছেলের। ছেলের এক বছর পূর্ণ হওয়ার সুবাদে জন্মসংসাপত্র ফিল আপ করতে হয়েছে অভিনেতাকে, যা করতে গিয়ে রীতিমতো দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ফর্মে ধর্মের স্থানে বিক্রান্ত কী লিখবেন, তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু কেন? বিক্রান্ত তো হিন্দু, তাহলে ছেলের শংসাপত্র নিয়ে এত দ্বিধা কেন তাঁর মনে?
বিক্রান্ত নিজেই হিন্দু ধর্ম হলেও তাঁর বাবা খ্রিস্টান ধর্মালম্বী একজন মানুষ, মা শিখ। অভিনেতা নিজে হিন্দু ধর্ম পালন করলেও মাত্র ১৭ বছর বয়সে অভিনেতার ভাই মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে নাম বদলে রাখেন মইন। খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি পরিবারে ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ধর্ম থাকায় কিছুটা দোলাচলে পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন: গায়ে লেপ্টে ভিজে শাড়ি, বৃষ্টিতে আগুন ধরালেন তন্বী! 'হট...', লিখলেন রাহুল
আরও পড়ুন: নতুন মেজাজে আসছে জি বাংলার 'সা রে গা মা পা'! কবে থেকে শুরু হবে সম্প্রচার?
তবে সবশেষে বিক্রান্ত যা করলেন, তা হয়তো অভিনেতার কাছ থেকেই আশা করা যায়। ছেলে বেদান্তের জন্ম সার্টিফিকেটে ধর্মের স্থান ফাঁকা রেখে দিলেন তিনি। ভবিষ্যতে যদি কখনও এই স্থানটি পূরণ করতে হয়, তা নিজেই করে নেবেন বেদান্ত।
ছেলের জন্ম সার্টিফিকেটে ধর্মস্থান ফাঁকা রাখার প্রসঙ্গে বিক্রান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় ধর্ম একেবারে ব্যক্তিগত পছন্দ। আমার বাবা মাও ভিন্ন ধর্ম মেনে চলেন। কে কোন ধর্মে বিশ্বাসী হবেন, সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। আমি বাড়িতে যেমন পুজো করি, তেমন গুরুদ্বারে যাই, আবার দরগাতেও যাই। আমি সবকিছুর মধ্যেই শান্তি খুঁজে পাই।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি চাই না আমার ছেলে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন করুক। আমি আমার সন্তানকে সেই শিক্ষাই দিয়ে বড় করতে চাই। ধর্মের উল্লেখ করতেই হবে এমন নিয়ম নেই সরকারের তরফ থেকে, তাই আমি চাইলেই সেই জায়গাটা ফাঁকা রাখতে পারি।’
আরও পড়ুন: শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই কেক কাটিং, দুই কৌশিকের উপস্থিতিতে জন্মদিন উদযাপন করলেন জয়া
আরও পড়ুন: গলায় পদ্মমালা, মাথায় মুকুট, দেবী লক্ষ্মীর বেশে বাসবদত্তা! কীসের শ্যুটিং সারলেন তিনি?