রবিবার বিয়ে করেছেন সোনাক্ষী সিনহা আর জাহির ইকবাল। একদম সাদামাটাভাবে চার হাত এক হল। দুজনের বিয়ের খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকেই, জল্পনা শুরু হয়েছিল একাধিক। কারও দাবি ছিল, সিনহা পরিবারের মত নেই এই বিয়েতে। তো কারও মনে প্রশ্ন ছিল, হিন্দু না মুসলিম কোন রীতিতে হবে বিয়ের অনুষ্ঠান?
তবে না হিন্দু, না মুসলিম, কোনও মতেই বিয়ে করেননি সোনাক্ষী আর জাহির। বরং দুজনে আইনি বিয়ে করেন। অভিনেত্রীর নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ পরিবার ও ইন্ডাস্ট্রির গুটি কয়েক বন্ধুকে নিয়ে সই সাবুদ করেন তাঁরা। আর তারপরে বিকেলে ছিল জাঁকজমক পূর্ণ রিসেপশন পার্টি। তাতে এসেছিল এক হাজারের কাছাকাছি অতিথি। পার্টি চলেছিল ভোর ৪টে অবধি।
সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের ২ দিন পর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলেন বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেছেন, ‘জাহির ইকবাল আর সোনাক্ষী সিনহার বিয়ে হল স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে। যার যার ধর্ম তার তার থাকছে। বিয়ের কারণে কারও ধর্মবিশ্বাস পরিবর্তন করতে হয়নি। জাহির তার নমাজ, রোজা, আদৌ যদি তার ইচ্ছে হয় করতে, করবে। আর সোনাক্ষীর যদি পুজো করতে ইচ্ছে হয় করবে। হ্যাঁ একই বাড়িতে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। শাহরুখ খানের বাড়িতে তো এমনই হয়। মধুর যে কোনও সম্পর্কে ধর্ম হয়ে ওঠে তুচ্ছ ব্যাপার।’
এখানেই থেমে থাকলেন না তসলিমা। আরও জুড়লেন, ‘হিন্দু-মুসলমানে বিয়ে হলে হিন্দুই ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। খ্রিস্টান-মুসলমানে বিয়ে হলে খ্রিস্টানই ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। বিয়ের কারণে কোনও মুসলমানকে ধর্ম বদলাতে হয় না। অথচ মুসলমানের সঙ্গে বিয়ে হলে সব অমুসলিমকে নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়। এইসব ঝামেলায় না গিয়ে সবচেয়ে ভালো স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করা।’
বিয়ের জন্য ধর্ম বদলের পরপন্থী নন সোনাক্ষী তা বোঝা গেল, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই। সবশেষে লিখলেন, ‘যে মানুষ তার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ধর্ম বদলানোর জন্য চাপ দেয়, তাকে বিয়ে না করাই ভালো। কারণ সে প্রেমিক বা প্রেমিকার চেয়ে ধর্মকে বেশি ভালোবাসে, তাছাড়াও নিজের ধর্মকে সব ধর্মের ওপরে রাখে। এই মেগালোম্যানিয়া সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।’
তবে সোনাক্ষী আর জাহিরের বিয়েতে সব ঠিক ছিল না বলেই মত একাংশের। কারণ অভিনেত্রীর পাশে বাবা-মা শত্রুঘ্ন আর পুনম থাকলেও, ছিল না দুই ভাই লব-কুশকে। কানাঘুষো, বোন ভিন্ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করাতেই অসন্তুষ্ট দাদারা।
সংবাদমাধ্যমের তরফে লবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জবাব এসেছে, ‘দু’টি দিন সময় দিন আমাদের। তার পরই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব। আমি কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে তবেই তো উত্তর দেব। প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ।’