২০২২ সালের গোড়াতেই বাগদান ও আইনি বিয়ে করেছিলেন অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়। তবে সামাজিক বিয়ের আগেই দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। টলিপাড়ার অন্দরের খবর, ইপ্সিতা নাকি নতুন করে প্রেমে পড়েছেন। তাও আবার ‘ননদাই’ ইন্দ্রাশিস রায়ের।
একসঙ্গে ‘জল থই থই ভালোবাসা’ ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন ইন্দ্রাশিস ও ইপ্সিতা। সেখানেই ইপ্সিতার ননদাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইন্দ্রাশিস। দুজনেই ডিভোর্সি। সত্যিই কি প্রেমটা চলছে?
আসলে গোটাটাই শুরু হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টকে ঘিরে। ইন্দ্রাশিসের জন্মদিনে একটি ছবি পোস্ট করেন ইপ্সিতা। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা। এদিকে প্রেম-চর্চায় মুখ খুলে ইপ্সিতা আনন্দবাজারকে জানান, ‘একজনের সঙ্গে কোনও ছবি দেওয়া মানেই, এসব চর্চা শুরু হয়ে যায়। বলছি তো, আমাকেও একটা ছেলে খুঁজে দিন না আপনারা। এসব চর্চা এবার বন্ধ হোক।’
সঙ্গে ইপ্সিতা স্পষ্ট করলেন, অর্ণবের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর একটু নিজেকে সময় দিতে চান। মা-বাবাকে নিয়ে ভাল আছেন তিনি। নিজের উপর কোনো সম্পর্কের বোঝা চাপাতেও রাজি নন।
অন্য দিকে, সৌরভী তরফদারকে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রাশিস। ১০ বছরের প্রেম করার পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন দুজনে। তবে মাত্র দু বছর পর ২০২৩ সালে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এর আগে অর্ণবের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণ নিয়ে দীপ্সিতা বলেছিলেন, ‘আমাদের দুজনের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা ছিল। হয়তো দুজনের জীবনের চাহিদাটাও আলাদা ছিল। প্রথম প্রথম যেটা মনে হয় অপজিটস অ্যাট্রাক্টস, পরে গিয়ে সেটা হয় না। অ্য়াডজাস্টমেন্টটা তো দুজনকেই করতে হবে, সবসময় কেউ বেশি-কেউ কম, তা করলে তো হবে না, তাই না!’
‘আলো ছায়া’ ধারাবাহিকের সেটে শুরু হয়েছি অর্ণব-ইপ্সিতার প্রেমের কাহিনি। অনস্ক্রিন দেওর-বউদি থেকে অফস্ক্রিন জুটি। বলে রাখা ভালো, এই জলথইথই ভালোবাসা ধারাবাহিকে কিন্তু ছিলেন অর্ণবও।এমকী, সেই ধারাবাহিকে যখন কাজ করছেন, তখনই তাঁদের ডিভোর্স। তবে ধারাবাহিক শেষ হওয়া অবধি সামনে আনেননি দাম্পত্য ভাঙার খবরটা।