ছোট পর্দার পরিচিত মুখ সৌমিতৃষা কুন্ডু। তবে এখনও তিনি তাঁর ভক্তদের কাছে 'মিঠাই রানি' হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। মেগায় তাঁকে দক্ষ হাতে সংসার সামলাতে দেখা যেত। যদিও সেটা ভালোই পারেন নায়িকা, কিন্তু বিয়েতে সৌমিতৃষার বেশ ভয়। জানেন কেন?
আরও পড়ুন: অন্নপ্রাশনের পরই ছেলের জন্মের ছ'মাস পালন! মধ্যরাতে কেক কেটে হল উদযাপন
টলি ফোকাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন নায়িকা। তখন তাঁকে জি বাংলার পর্দায় মিঠাই হিসেবে দর্শকরা দেখতে পেতেন। সেই সময় ওই সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা বলেছিলেন, ‘খুব ছোট বয়স থেকেই আমার মাথায় চলে এসেছিল যে বিয়ে করে আমি শ্বশুরবাড়িতে যাব না। ওই কনকাঞ্জলি দিয়ে বাবা-মাকে ছেড়ে চলে যাওয়া ওটা আমার কাছে এখনও ভয়ের। আমি যেতে পারব না। ছোটোবেলায় অনেকে আমাকে বলতেন, বড় হলে আমার এই ভাবনার পরিবর্তন হবে, কিন্তু এখনও তা হয়নি। আর আমি জানি আর এই ভাবনার পরিবর্তন হবেও না।’
তাহলে বাবা-মাকে ছেড়ে যাওয়ার ভয়ে কি কখনওই বিয়ের কথা ভাববেন না নায়িকা? না তা অবশ্য নয়। এক্ষেত্রে সৌমিতৃষার ভাবনা একটু আলাদা। তিনি বলেন, ‘আমি আর আমার বর পাশাপাশি দুটো ফ্ল্যাট কিনব বা আমি আমার বরকে একটা ফ্ল্যাট কিনে দেব। দু’জন পাশাপাশি থাকব। আমি চাই আমার বাবা-মা আমার কাছাকাছি থাকুন। আমি আমার ফ্ল্যাট থেকে বের হলেই যেন আমার বাবা-মাকে দেখতে পাই। আমার পাশেই আমার বাবা-মায়ের ফ্ল্যাট থাকবে। তবেই আমার প্রেসার, সুগার বাড়বে না। কারণ আমার এখনই এরকম হয় বাবা অফিসে যান, আর আমার মায়ের হাই প্রেসার। তাই মাঝে মাঝে কোনও দৃশ্য করতে করতে মনে হয় মায়ের প্রেসার বেড়ে গেল না তো? মা কোনও ভাবে তার জন্য বাথরুমে পড়ে গেল না তো? আমি জানি এগুলো খুব নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা এগুলো কারুর আসা উচিত নয়। আমার অতিরিক্ত ভালোবাসা থেকে এগুলো আসে। সে কারণে যত বয়স বাড়বে, আমার এগুলো বাড়বে। শ্বশুরবাড়ি দূরে থাকবে, আর আমার মাঝরাতে এইসব মনে হবে, সেটা আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। এই গুলোর জন্যই আমি সিঙ্গল। এরকম কাউকে যদি পাই জীবনে তখন সেটা নিয়ে এগোব।'
আরও পড়ুন: 'প্রথম ভালোবাসার অনুভূতিটা কখনও ভোলা যায় না…', হঠাৎ কেন এমন লিখলেন কাঞ্চন-পত্নী শ্রীময়ী?
প্রসঙ্গত, সৌমিতৃষা ‘গুরুদক্ষিণা’, 'কনে বউ'-এর মত একাধিক মেগা করলেও ‘মিঠাই’ নায়িকাকে এনে দিয়েছিল বিরাট সাফল্য। তারপরই দেবের নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় ডেবিউ হয় তাঁর। তারপর সৌরভ দাসের সঙ্গে আরও একটি ছবিতে দেখা মেলে নায়িকার। তারপর তাঁর সিরিজ ‘কালরাত্রি’ও মুক্তি পায় হইচইয়ের পর্দায়। এছাড়াও এক সময় তিনি তাঁর রোজকার নানা খুঁটিনাটি অনুরাগীদের সঙ্গে মিনি ভ্লগ আকারেও ভাগ করে নিতেন। কিন্তু মাঝে বেশ কিছুটা সময় নিজেকে পর্দা থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন নায়িকা। অবশেষে ২১ শে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চে তাঁর দেখা মেলে।