বছরখানেক আগে সলমন খানের ছোট ভাই, সোহেল খান ও তাঁর স্ত্রী সীমা সজদেহর ডিভোর্সের খবর শুনে রীতিমতো হতবাক হয়েছিল অনেকে। সম্প্রতি ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল। ২৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়েও কথা বললেন।
ইটাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সোহেল জানিয়েছেন যে, ক্রমাগত ঝগড়া তাদের বিচ্ছেদের পিছনের মূল কারণ ছিল। সীমার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন সোহেল। ‘আমি সীমার সঙ্গে ২৪ বছর কাটিয়েছি। সে খুব সুন্দরী একটি মেয়ে, এবং কোথাও গিয়ে কিছু জিনিস কাজ করেনি আমাদের মধ্যে। কিন্তু তাতে সীমা এবং আমার মধ্যেকার সমীকরণ বদলায় না। সে একজন চমৎকার মানুষ এবং খুব যত্নশীল মা। এটা সবসময় স্থির যে, বছরে একবার আমরা সবাই পরিবার হিসেবে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাব এবং আনন্দ করব। আমরা শুধু সেপারেটেড প্যারেন্ট হব এবং খুব ভালো সময় কাটাব’, বলেন সলমনের ভাই।
ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া অভিনেতা আরও বলেন যে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মূলত তাদের সন্তান নির্বাণ এবং ইয়োহানের কারণে নিয়েছিলেন। বলেন, ‘যখন স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া শুরু করে, তখন তা বাচ্চাদের মনে খুব প্রভাব ফেলে। স্বামী-স্ত্রীর ইগো বাচ্চাদের কতটা প্রভাবিত করে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারেন না। কিন্তু বাচ্চারা বিরক্ত হতে শুরু করে। এরকম হলে তারা পরবর্তী প্রজন্মকে নষ্ট করছে। সন্তানদের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে। আর এই সন্তানরা বড় হয়ে খিটখিটে মানুষ তৈরি হয়। তাই আমি আর সীমা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা চাই না আমাদের ছেলেমেয়েরাও এরকম হোক’।
সোহেল এবং সীমার সম্পর্ক
সোহেল খান এবং সীমা সাজদেহ ১৯৯৮ সালে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার পর বিয়ে করেন। জানা যায়, সোহেলের সিনেমা প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া নির্মাণের সময় এই জুটির প্রথম দেখা হয়। ধর্মীয় ও পারিবারিক পার্থক্যকে অগ্রাহ্য করে, তারা প্রথমে আর্য সমাজের মতে বিয়ে করেন, এরপর উভয় ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে নিকাহ ও কোর্ট ম্যারেজও করেন।
সোহেল এবং সীমা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ নেন, যা দুই দশকের বেশি সময় ধরে টিকে থাকা একটি সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটায়। সীমা এর আগে নেটফ্লিক্সের ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস-এ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বললেও, সোহেল খানের পক্ষ থেকে এটিই ছিল এই বিষয়ে প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি।