মুম্বইয়ের মন্নত, শাহরুখ ভক্তদের কাছে এই বাড়িটি হল অন্যতম দর্শনীয় স্থান। তবে আপাতত শাহরুখ নিজের বাড়ি ছেড়ে রয়েছেন একটি ভাড়া বাড়িতে। ভক্তদের আনাগোনা এখন বন্ধ মন্নতের সামনে। কারণ, শাহরুখের বাড়িটি রয়েছে আন্ডার কনস্ট্রাকশন। কিন্তু এর মধ্যেই শোনা গেল অন্য একটি অভিযোগ।
মন্নতে নাকি চলছে অবৈধ নির্মাণ, এই অভিযোগ শোনার পরেই অভিনেতার বাড়িতে আসেন বিএমসি এবং বনবিভাগের কর্মকর্তারা। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা। তবে এই ব্যাপারে কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে অভিনেতার ম্যানেজার পূজা দাদলানি জানিয়েছেন, যে সংস্কার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অনুমতি মেনেই করা হচ্ছে। বাড়ি সম্পর্কিত সমস্ত নথি যথাযথভাবে জমা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিজার মুক্তি পেতেই বিতর্কে দ্য বেঙ্গল ফাইলস, বিবেকের বিরুদ্ধে FIR তৃণমূল নেতার
আরও পড়ুন: মনের মানুষের সঙ্গে প্যারিসে ভ্রমণ ঋতাভরীর, পোস্ট করলেন একগুচ্ছ ছবি
এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে পূজা বলেন, সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই কাজ করা হয়েছে। কোনও অভিযোগ নেই। অন্যদিকে বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংস্কার অনুমতি সম্পর্কে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি জমা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং আইনজীবী ওয়াইপি সিং অভিযোগ করার পরেই শাহরুখের বাড়িতে হানা দেন বনদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে নগর ভূমি সীমা আইন কার্যকর থাকায় বড় অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এই আইনি বাধা অতিক্রম করার জন্য শাহরুখ এবং গৌরী বিএনসির কাছ থেকে ১২ টি ছোট ছোট ফ্ল্যাটের অনুমোদন চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শুধু ‘সিতারে জামিন পর’ নয়, আমিরের এই ছবিগুলিও হলিউডের ছবির নকল! তালিকায় আছে কী কী?
আরও পড়ুন: বাড়ি এক হলেও থাকেন আলাদা ঘরে, দুই দাদার পর কী এবার ভাঙতে চলেছে অর্পিতার সংসারও?
অনুমোদন পাওয়ার পর ১২টি ছোট ছোট ফ্ল্যাট, যা মূলত নগর ভূমি সীমা আইনের অধীনে গণ আবাসনের জন্য তৈরি ছিল, সেটি পরে অভিনেতার পরিবারের জন্য একটি বিলাসবহুল আবাসনে পরিণত হয়। অভিযোগকারীর অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে কিং খানকে।