কারণে অকারণে টাকা পয়সা খরচ করতে দুইবার ভাবেননি সমীরা রেড্ডি। একবার তো ২৩ লক্ষ টাকা খরচ করে এসেছিলেন দুবাই মলে ঢুকে। একদিনেরই খোরাক ছিল এই মোটা অঙ্কের টাকাটা। তাও আবার এমন একটা কারণে। যা জানলে চক্ষু ছানাবড়া হবে যে কারও। আপনিও যদি কোনোদিন যান, হয়ত সমীরার মতো একই কাজ করতে বাধ্য হতে পারেন।
ঠিক কী কারণে এক দিনে ২৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন সমীরা
ফাইন্যান্স প্ল্যাটফর্ম ১% ক্লাবের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সবটাই খোলসা করেছেন সমীরা রেড্ডি। তাঁর অত্যন্ত খরুচে অভ্যাস সম্পর্কে স্পষ্টভাবে অন্য কথা জানিয়েছেন এদিন। ৪৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর কথায়, একটি বিশেষ কারণে দুবাইয়ের মলে গিয়ে এত বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও এখন আর একই কাজ করেন। এসব থেকে দূরেই থাকেন, যতটা সম্ভব।
আসলে সমীরা রেড্ডিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি একদিনে সবচেয়ে বেশি কত টাকা ব্যয় করেছেন? তারই উত্তরে মুসাফির অভিনেত্রী বলেন, দুবাই মলে ২৩ লাখ, শুধুমাত্র ওই মলে পার্সোনাল শপার ছিল বলেই, এত বড় খরচ হয়েছিল তাঁর। এই কারণেই তো ওই শপাররা থাকেন মলে। সমীরা যদিও এখন তাঁদের থেকে অনেকটাই দূরে থাকেন।
উল্লেখ্য, প্রাইভেট শপারদের আসলে বিশেষ স্কিল থাকে। তাঁরা অনায়াসেই ক্রেতাদের দামি জিনিস কেনার জন্য মানিয়ে নিতে পারেন বলে মনে করা হয়। আর এই ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন সমীরাও।
উল্লেখ্য, এদিনের সাক্ষাৎকারে অডিয়েন্সকে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যাঁরা তাড়াতাড়ি অবসর নিতে চান, তাঁদের জন্য বিনিয়োগের খাতে কোনও বিশেষ একটি পরামর্শ আছে কিনা, তা জানতে চাইলে সমীরা বলেছিলেন এসআইপি সবথেকে ভালো উপায়। তাঁর মতে, শেয়ার বাজার উপরে এবং নীচে গেলেও এসআইপি-র পরিমাণে কোনও অসুবিধা হবে না। এছাড়াও বিনিয়োগকারীরা মাত্র ৫০০ টাকা থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সমীরা।
১৯৭৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, রেড্ডির জন্ম মুম্বইতে। বাবা তেলেগু এবং মা ম্যাঙ্গালোরিয়ান কোঙ্কনি। তাঁর তিন ভাইবোন রয়েছেন। বোন মেঘনা রেড্ডি এবং সুষমা রেড্ডি দু' জনেই মডেলিংয়ে কাজ করেছেন। এই মুহূর্তে গোয়ায় রয়েছেন বলিউডের একসময়কার হিট অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি। ২০০২ সালে ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরই পাশাপাশি ২০০৩ সালের ডরনা মানা হ্যায়, ২০০৬ সালের অশোক এবং ২০০৮ সালের রেস ছবিতে দর্শক খুবই পছন্দ করেছিল তাঁকে। এরপর ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারী অক্ষয় ভার্দে নামে একজন উদ্যোক্তাকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে - ছেলে হান্স ভার্দে এবং মেয়ে নায়রা ভার্দে।