বলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ সমীরা রেড্ডি। একটা সময় বলিউডের ‘সেক্স সিম্বল’ ছিলেন তিনি। একের পর এক ছবিতে সাহসী চরিত্রে দেখা মিলেছিল অভিনেত্রীকে। অনেক বছর আগেই অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন। এখন তিনি স্বামী, সংসার নিয়ে ‘ব্যস্ত মায়ের ভূমিকায়’। জীবনে যতই সাফল্য আসুক, শিকড় ভুলে যাননা অনেকেই।
সম্প্রতি অতীতের স্মৃতি হাতড়ালেন সমীরা। প্রথম অডিশনের দিনটা তাঁর জীবনে ঠিক কেমন ছিল? ইনস্টাগ্রামের পাতায় সেই মধুর স্মৃতির কথা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। সালটা ১৯৯৮। প্রথম অডিশনের দিন। তবে সেদিন ক্যামেরার সমানে সেভাবে কিছুই করতে পারেননি সমীরা। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। সাবেকি পোশাক পরা পুরনো একাধিক ছবি শেয়ার করে সেকথাই জানালেন।
সমীরার কথায়, তাঁর প্রথম শ্যুটিং ছিল দক্ষিণের তারকা মহেশ বাবুর সঙ্গে। অভিনেত্রী লেখেন, 'আমার প্রথম অডিশন, ১৯৯৮ সাল। মহেশ বাবুর সঙ্গে কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু এত ভয় লাগছিল যে ক্যামেরার সামনে পারফর্ম করতে পারলাম না। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, চাকরি করব। বছর দু'য়েক করিও, একটি কোম্পানিতে। তার পর সাহস ফিরে পাই। আমার প্রথম মিউজিক ভিডিয়ো ‘আহিস্তা কিজিয়ে বাতেঁ’ হয় এর পরই'।
আরও পড়ুন: বিয়ের পিঁড়িতে ‘হাঙ্গামা’ পরিচালক প্রিয়দর্শনের ছেলে, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ছবি
সোহেল খানের বিপরীতে ২০০২ সালে ‘মেয়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবিতে ডেবিউ করেন সমীরা। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রী। বলিউডে একের পর এক হিট ছবির তকমা লেগেছে তাঁর গায়ে। পাশাপাশি দক্ষিণের ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ১০ বছর আগে অস্বস্তিকর একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
নায়িকা মানেই সুন্দর, তার সবকিছু পারফেক্ট- এই ভাবনা নিয়ে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কাটিয়েছেন সমীরা রেড্ডি। কিন্তু এখন এক্কেবারে সেই সবকিছুকে পাত্তা দেন না প্রাক্তন বলি নায়িকা।
সমীরার কথায়, ‘বছর দশেক আগে একটা অদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সকলে যাচ্ছিল। সবাই প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছে, স্তনের আকার বাড়াচ্ছে (বুবস জব), নাকের আকার পাল্টাচ্ছে, শরীরের সব গঠন পালটে ফেলছে। আমাকেও বলা হয়েছিল স্তনের আকার বাড়াতে। আমি সবসময়ই প্যাডেড ব্রা পরতাম। অনেকবার আমি ভেবেছি, আমি কি সার্জারি করাব? এটা কি স্বাভাবিক? কিন্তু ভাগ্যিস সে পথে হাঁটিনি। এর জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই। তেমনটা করে থাকলে আজ আমার আফসোস হত’।