একটা সময় বলিউডে অভিনেত্রী মানেই ধরা হত ‘আই ক্যান্ডি’। আর কিছু অভিনেত্রী ছিলেন যাঁদের কেবলমাত্র ‘সেক্স সিম্বল' হিসাবেই ছবিতে কাস্ট করা হত। এই তালিকায় অন্যতম ছিলেন সমীরা রেড্ডি। তাই নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে হামেশা চিন্তায় থাকতেন সমীরা। জীবনের একটা লম্বা সময় সেক্সি শরীর পেতে না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন তিনি কিন্তু এখন এক্কেবারে সেই সবকিছুকে পাত্তা দেন না প্রাক্তন বলি নায়িকা। মেকআপ ছাড়া ছবি পোস্ট হোক বা ফলাও করে নিজের পাকা চুল দেখানো, আজকাল কোনওকিছুতেই ছুৎমার্গ নেই তাঁর। বডি শেমিং নিয়ে বরাবরই সোচ্চার সমীরা, নিজের শরীরকে ভালোবাসো- এই বার্তাই হামেশা দেন তিনি।
সম্প্রতি মিড-ডে'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান ‘সেক্সি’ তকমা ধরে রাখতে অনেক বলিদান দিতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি না খেয়ে পর্যন্ত দিন কাটাতেন, হয়ত দিনে একটা ইডলি খেতেন। ওজন না বেড়ে যায়, এই ভয়ে হামেশা কুঁড়তে থাকতেন। কেরিয়ারের সেই ১০ বছর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সমীরা। তাঁর কথায়, স্তনের আকার বড় করবার জন্য প্লাস্টিক সার্জারির পরামর্শ পর্যন্ত পেতেন তিনি।
সমীরা বলেন, ‘বছর দশেক আগে একটা অদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সকলে যাচ্ছিল। সবাই প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছে, স্তনের আকার বাড়াচ্ছে (বুবস জব), নাকের আকার পাল্টাচ্ছে, শরীরের সব গঠন পালটে ফেলছে। আমাকেও বলা হয়েছিল স্তনের আকার বাড়াতে। আমি সবসময়ই প্যাডেড ব্রা পরতাম। অনেকবার আমি ভেবেছি, আমি কি সার্জারি করাব? এটা কি স্বাভাবিক? কিন্তু ভাগ্যিস সে পথে হাঁটিনি। এর জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই। তেমনটা করে থাকলে আজ আমার আফসোস হত’।
আরও পড়ুন-সার্জারি করে স্তনের আকার বাড়ানোর পরামর্শ পেতাম, পরতে হত প্যাডেড ব্রা: সমীরা
সোহেল খানের বিপরীতে ২০০২ সালে ‘মেয়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবিতে ডেবিউ হয়েছিল সমীরার। এরপর ‘ডরনা মানা হ্যায়’, ‘মুসাফির’, ‘ট্যাক্সি নম্বর ৯২১১’, ‘রেস’, ‘দে দনা দন’-এর ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে শেষবার রূপোলি পর্দায় দেখা গেছে সমীরাকে,কন্নড় ছবি ‘বরাধনায়াকা’তে। পরের বছরই অক্ষয় বারধের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সমীরা, ইতি টানেন ফিল্মি কেরিয়ারে। এখন পুরোদস্তুর সংসারী সমীরা, দুই সন্তানকে নিয়ে জমিয়ে সংসার করছেন।
আরও পড়ুন-বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাহরুখের ‘চক দে ইন্ডিয়া গার্ল’, চিত্রাশির হবু বরকে চিনে নিন
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)